বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। রাজনীতির উত্থান-পতনে ঠাঁই করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের মনের সিংহাসনে। নিজ কর্মে পৌঁছেছেন অনন্য উচ্চতায়। মেধা-মনন-শ্রমে গোটা জাতিকে নিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্নের শিখরে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মজীবন চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত।
২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থানে ছিলেন তিনি। তাঁর আগে ও পরে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন সার্লেফ এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডারডটির। ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা ১০ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন।
কিন্তু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে বারবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় শেখ হাসিনা যে মঞ্চে বক্তৃতা করবেন সেখান থেকে ৫০ ফুট দূরে ৭৬ কেজি ওজনের একটি টাইম বোমা আবিষ্কার করে পুলিশ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেড হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। ওই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক আহত হন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই যৌথ বাহিনী শেখ হাসিনাকে তাঁর বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে অন্তরীণ রাখা হয়।
ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিপ্লব হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, টানেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো সুবিশাল আধুনিক অবকাঠামোগুলো প্রথমবারের মতো দেখেছে গোটা দেশ। তবে এতে বাধাও কম আসেনি। কাজ শুরুর আগেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগটি পরবর্তী সময় ভুল ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। ঋণ বাতিল হলেও নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রম।