Tuesday , 15 October 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
অনন্য, অদ্বিতীয় শেখ হাসিনা
--শেখ হাসিনা

অনন্য, অদ্বিতীয় শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্কঃ

বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। রাজনীতির উত্থান-পতনে ঠাঁই করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের মনের সিংহাসনে। নিজ কর্মে পৌঁছেছেন অনন্য উচ্চতায়। মেধা-মনন-শ্রমে গোটা জাতিকে নিয়ে যাচ্ছেন স্বপ্নের শিখরে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী ১৫ বছরের বেশি শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর ২০৮ দিন এবং চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১১ বছর সাত দিন দেশ পরিচালনা করেছেন।

শেখ হাসিনার নিরলস ও কর্মঠ জীবনাচরণ, দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে তাঁর আত্মনিয়োগ, নির্মোহ ত্যাগ ও তিতিক্ষা, গভীর দেশপ্রেম, রাষ্ট্রকে উন্নত বিশ্বের মর্যাদায় সমাসীন করার দৃঢ় প্রত্যয়; অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা বজায় রাখা এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নতকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে তাঁর অবস্থান সুস্থিত করেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মজীবন চার দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী বিস্তৃত।

শেখ হাসিনা বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। ২০২৩ সালে মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বসের দৃষ্টিতে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান ৪৬তম। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফরেন পলিসি নামক সাময়িকীর করা বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদের তালিকায় শেখ হাসিনা জায়গা করে নিয়েছেন।

২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থানে ছিলেন তিনি। তাঁর আগে ও পরে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন সার্লেফ এবং আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডারডটির। ২০১০ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরিপে তিনি বিশ্বের সেরা ১০ ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন।

কিন্তু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনে বারবার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০০০ সালের ২১ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক জনসভায় শেখ হাসিনা যে মঞ্চে বক্তৃতা করবেন সেখান থেকে ৫০ ফুট দূরে ৭৬ কেজি ওজনের একটি টাইম বোমা আবিষ্কার করে পুলিশ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় এক জনসভায় বক্তৃতাদানকালে গ্রেনেড হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। ওই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ১৯ জন মৃত্যুবরণ করেন ও শতাধিক আহত হন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন ২০০৭ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই যৌথ বাহিনী শেখ হাসিনাকে তাঁর বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। শেখ হাসিনাকে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনকে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করে সেখানে অন্তরীণ রাখা হয়।

ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে বিপ্লব হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, টানেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো সুবিশাল আধুনিক অবকাঠামোগুলো প্রথমবারের মতো দেখেছে গোটা দেশ। তবে এতে বাধাও কম আসেনি। কাজ শুরুর আগেই পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগটি পরবর্তী সময় ভুল ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। ঋণ বাতিল হলেও নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয় পদ্মা সেতু নির্মাণ কার্যক্রম।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply