Friday , 29 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
আশুগঞ্জ মোকামে কমেছে নতুন ধানের বেচাকেনা

আশুগঞ্জ মোকামে কমেছে নতুন ধানের বেচাকেনা

আশুগঞ্জ মোকামে কমেছে নতুন ধানের বেচাকেনা

১. ভরা মৌসুমে মোকামে ধানের বেচাকেনা কমেছে ৮০ শতাংশেরও বেশি।
২. পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম আশুগঞ্জের বিওসি ঘাট।
৩. প্রতিদিন মোকামে ৫০/৬০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হতো, যা এখন ১২/১৫ হাজার মণে দাঁড়িয়েছে।
৪. বস্তাপ্রতি ধানের দাম কমেছে ১ থেকে দেড়শ টাকা।
৫. পুরাতন বিআর -২৮ ও বিআর- ২৯ জাতের ধানের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম মোকামে।
৬. ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে মনিটরিং টিম কাজ করছে।
৭. চালের বেচাকেনা বাড়লে মোকামে ধানের বেচাকেনা বাড়বে।

মো. আজহার উদ্দিন,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

গেলো তিন সপ্তাহ ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে কেনাবেচা হচ্ছে নতুন ধান। তবে ভরা মৌসুমেও মোকামে ধানের বেচাকেনা কমেছে ৮০ শতাংশেরও বেশি। মূলত মোকামে আসা নতুন ধান ভেজা ধান থেকে চাল কম হওয়ায় বেচাকেনা কমেছে। এছাড়া চালের বাজারে চাল বেচাকেনা কমায় চালকল মালিকরা মোকাম থেকে ধান কিনছেন কম। ফলে মোকামে ধানের আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন বেপারীরা।

চলতি আমন মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষকরা আসছে পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম আশুগঞ্জের বিওসি ঘাটে। কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান নদী পথে কৃষক ও ব্যাপারীরা নিয়ে আসছেন। তবে আকষ্মীকভাবে ধানের দর কমে যাওয়ায় চলতি ভরা মৌসুমেও মোকামেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনা কমে গেছে। প্রতিদিন এই মোকামে ৫০/৬০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হতো। ধানের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়ায় ১২/১৫ হাজার মণে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে পর্যাপ্ত ধান থাকা সত্ত্বেও বেপারীরা মোকামে ধানের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। মূলত ভেজা ধান থেকে পুরাতন ধানের তুলনায় ৪-৫ কেজি চাল কম পাওয়া যায়। ফলে চালকল মালিকরা লোকসানের অজুহাতে ধান কেনা কমিয়ে দিয়েছেন।

ব্যাপারীরা জানান, বস্তাপ্রতি ধানের দাম কমেছে ১ থেকে দেড়শ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিআর-২৯ ধান ১৪২০ থেকে ১৪৩০ টাকায় বিক্রী হতো এখন তা কমে ১৩৫০/১৩৬০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। নতুন ধান (চিকন) ৩৯ ও ৪৯, এক হাজার ২শ ৫০ টাকা দরে বিক্রী হলেও এখন তা ১ হাজার ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। আর মোটা ধান ৯২০/৯৩০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে।

তারা জানায়, নতুন ধান মোকামে আসায় ধানের দর কিছুটা কমেছে। বর্তমান দামে ধান বিক্রী করে তাদের পরতা হচ্ছেনা। এতে দূরদুরান্ত থেকে ধানের আমদানি কমে গেছে।

পুরাতন বিআর -২৮ ও বিআর- ২৯ জাতের ধানের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম মোকামে। ফলে এ দুই জাতের ধানের দামও কিছুটা বেশি। তবে ধানের বেচাকেনা কমার প্রধান কারণ হিসেবে বাজারে চালের বেচাকেনা কম হওয়ার কথা জানিয়েছেন চালকল মালিকরা।

জেলা চালকল মালিক সমিতি সভাপতি বাবুল আহমেদ বলেন, বৃহত্তর হাওড়াঞ্চলের কৃষক ও আড়ৎদাররা প্রতিদিন নদীপথে ৫০/৬০ হাজার মণ ধান নিয়ে আসলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২/১৫ হাজার মণে। আকষ্মীক ধানের দরপতন হওয়ায় মোকামে কমেছে ধানের কেনা বেচা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জাকারিয়া মোস্তফা বলেন, কারসাজির মাধ্যমে কেউ যাতে ধানের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সেজন্য মনিটরিং টিম কাজ করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় তিনশ চালকলে ধানের যোগান দেয় আশুগঞ্জ মোকাম। এসব ধান থেকে চাল তৈরি করে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। চালের বেচাকেনা বাড়লে মোকামে ধানের বেচাকেনা বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply