Tuesday , 16 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
উখিয়ার ইনানী সৈকত দীর্ঘ লকডাউনের পর আপন প্রানে ডাকছে পর্যটকদের…..

উখিয়ার ইনানী সৈকত দীর্ঘ লকডাউনের পর আপন প্রানে ডাকছে পর্যটকদের…..

উখিয়া,কক্সবাজার, প্রতিনিধি:

পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দুয়ার নিয়ে বসে আছে পাথরে গাঁথা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। এক পাশে দীর্ঘ সমুদ্র অন্য পাশে হিমছড়ি ঝর্ণা সবুজে অরণ্য মাঝ পথে আকা-বাকা মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকে দৃষ্টি দিলেই অবলোকন করা যায় ইনানী সমুদ্র সৈকত।

ভ্রমণ পিপাসুরা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে এসেই পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে পর্যটকরা ছবি তোলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। উখিয়ার রেজুখাল সংলগ্ন মিনি বান্দরবান খ্যাত গোয়ালিয়া কক্সবাজারের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। ঠিক তেমনিভাবে ইনানী সমুদ্র সৈকত এলাকায় অসাধারণ আবহ। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য দেখতে পুরো বছরই দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে পর্যটন কেন্দ্রটি। বিশেষ করে দুই ঈদে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে করোনাভাইরাস অথপর লকডাউন শেষে ফের খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র। উখিয়ার ইনানীতে পাহাড়-সমুদ্রের পাশাপাশি সোনার পাড়ায় রয়েছে সারি সারি নারিকেল ও সুপারির বাগান। এ এলাকায় কানা রাজার গুহাসহ চিত্তাকর্ষক নৈসর্গিক শোভা ও মনোমুগ্ধকর অসংখ্য দৃশ্য রয়েছে এ এলাকায়।

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উখিয়ায় গোয়ালিয়া ও ইনানী সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে দিন দিন এ পর্যটন স্পটটির গুরুত্ব বাড়ছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলার অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া উখিয়া হাইস্কুল মাঠে বিশাল এক জনসভায় ইনানী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা দেন। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী কর্ণেল অলি আহমদকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণে নির্দেশনা দেন বলে জানান, সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী।

ঠিক ঐ সময়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়ার রেজুখালের ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। রেজুখালের পারে সবুজ বনানী ঘেরা মায়াবী পরিবেশ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতে এসে পা ভিঁজিয়ে সমুদ্রে নামেন। বাংলাদেশের দুজন সফল প্রধানমন্ত্রীকে আকৃষ্ট করেছে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের পানিতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য যে কোন পর্যটকদের আকৃষ্ট করে দারুণভাবে।

উখিয়ার সোনারপাড়া, রেজুখাল সংলগ্ন গোয়ালিয়া ও ইনানী সমুদ্র সৈকত এলাকার চারপাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ। এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়িও। সোনারপাড়া ইনানীতে পরিকল্পিতভাবে চিংড়ি পোনা উৎপাদন কেন্দ্র, সাগগরে জাল ফেলে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য, দেশের প্রথম সারির সুপারি ও নারকেল বাগানসহ ইত্যাদি চোখ জুড়ানোর দৃশ্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। জীবিকার তাগিদে খেটে-খাওয়া মানুষের হরেকরকম কর্মের দৃশ্যও অন্য অঞ্চলের থেকে একটু ভিন্ন।লোনাপানিতে ভেসে চিংড়ি পোনা সংগ্রহের দৃশ্য সবার নজর কাড়বে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আসা পর্যটক জান্নাত আরা মল্লিকা বলেন, আমি কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি।
গত ৮/৯ বছর পূর্বে এসেছিলাম পরিবারের সাথে।
ছোটকালের স্মৃতিময় উখিয়ার ইনানীতে আবারো বেড়াতে এসেছি। রেজুখালের স্বচ্ছ পানি ও মিনি বান্দরবান খ্যাত গোয়ালিয়া দেখতে অপরুপ। পাথরে গাথা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত আমার খুব ভাল লেগেছে। দুপাশে সারি সারি সুপারি বাগান আর সাগরে নেমে পাথরের ওপর দাড়িয়ে ছবি তোলা আমাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করেছে।পর্যটন প্রেমী এম.ছৈয়দ আলম বলেন, কিছুদিন আগে আমরা ইনানী সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষার্থে বিচ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।সকল সামাজিক সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ গ্রহণ করে এটিকে সুন্দর করে রাখা আমাদের প্রত্যেকের উচিত বলে মনে করি।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply