Saturday , 20 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ

এখন তো নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে, কিস্তির টাকা কিভাবে দেব!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃবাংলাদেশে দিন দিন বেড়ে চলছে মহামারি করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ।সেই সাথে বর্তমানে শহর থেকে গ্রামেও ছড়িয়ে পরছে এই ভাইরাসের প্রভাব। তাই জনগণের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে বিধি নিষেধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। সেই সাথে ঠাকুরগাঁও জেলাকে ঘোষণা করার হয়েছে লকডাউন। অপরদিকে এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে প্রশাসনের প্রচার অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসকের বিধি নিষেধ তোয়াক্কা না করে রুহিয়ায় বিভিন্ন এনজিও নিয়মিত কিস্তি আদায় করে চলছে। 
রবিবার (২৭ জুন) রুহিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টিএমএস, ব্রাক,বুরো বাংলাদেশ সহ কয়েকটি এনজিওর মাঠ কর্মী কৌশলে অসহায় ঋণগ্রহীতার কাছে চাপ দিয়ে কিস্তি আদায় করছে।
এ বিষয়ে ঋণগ্রহীতা ফায়েজ আলী বলেন,জেলায় লকডাউনের কারণে বর্তমানে কোন কাজ কর্ম নাই। তাই আয়ের না থাকায় কিস্তি দিতে পারিনা। তারপরও সাহেব কিস্তি নিতে আসে আমরা তো বিপাকে পরে গেলাম। 
 ইয়াসমিন আক্তার নামে আরেক ঋণগ্রহীতা জানান, আমার স্বামী একজন চা বিক্রেতা। করোনা ভাইরাসের লকডাউনে বেশ কিছু দিন ধরে দোকান বন্ধ। দোকান ছাড়া আমাদের আর কোন আয় রোজগার নেই। বর্তমানে সন্তান নিয়ে দু’বেলা খেতে পারি না, এর মধ্যে আবার আজকে কিস্তি নিতে আসে!
আজকে কত টাকা কিস্তি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছেএক টাকাও নাই। আমার বাড়িতে খবর দিল কিস্তি নিতে আসছে। তাই আমি বলতে আসলাম কিস্তি দিতে পারবো না। কিন্তুু তারপরও আমার সঞ্চয় থেকে কিস্তির টাকা কেটে নিয়েছে। 

টিএমএস এর  মাঠ কর্মী নুরে আলম বলেন, আমার শাখা ব্যবস্থাপক এর নির্দেশনায় আমি কিস্তি আদায় করতে এসেছি। এতে আমার কোন অপরাধ নেই।  
এ বিষয় টিএমএসএসের রুহিয়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মনোরঞ্জন রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিস্তি আদায় বন্ধ এইরকম কোন নির্দেশনা আমার উর্দ্ধনত কর্মকর্তা আমাকে ম্যাসেজ দেয়নি। তিনি আরও বলেন, আমরা সীমিত পরিসরে কিস্তি আদায় করছি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সকল এনজিওকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তারপরেও যদি কেউ নিদের্শনা অমান্য করে তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply