বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, এই দেশ তো আমাদের, ওরা তো পরগাছা। আমরা যেন কোনোভাবেই ভয় না পাই। আমি বিশ্বাস করি আজকে যদি ডা. এস এ মালেক এখানে থাকতেন তাহলে তিনি একই কথা বলতেন।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রয়াত সভাপতি ডা. এস এ মালেকের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদের থিউরিটিকাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এখন রাস্তায় নামার সময় হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা খুবই একা হয়ে পড়েছেন। আমাদের সবাইকে তার পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, তারা ক্ষমতায় গেলে দেশটাকে আবার পাকিস্তান বানাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত এখন শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই স্পষ্ট কথা বলছেন। আমরা কেউই স্পষ্ট কথা বলতে পারছি না। ভয়টা কোথায় আমাদের? আমরা কিসের ভয় পাচ্ছি? আমরা যেন কোনোভাবেই ভয় না পাই।’
আলোচনা সভায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. লিয়াকত হোসেন মোড়ল বলেন, ‘১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার পেছনে ডা. এস এ মালেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
আমাদের জাতির জন্য একটা দুর্ভাগ্য যে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা কেউই কাছ থেকে দেশের আসল বিশ্বাসঘাতকগুলোকে দেখতে পারেন নি। কারণ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সময় শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না।’
আলোচনাসভার সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ডা. এস এ মালেক একজন বহুগুণের অধিকারী মানুষ ছিলেন। আজকে আমাদের একত্রিত হওয়ার একটাই কারণ তা হচ্ছে ডা. এস এ মালেকের আদর্শ অনুসরণ করা। তার আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করা হবে।
আজ আমরা গভীর সংকটের মধ্যে আছি। এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধী শক্তির পক্ষে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। আমাদের হৃদয়ে থাকবে মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের হৃদয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, তাহলেই আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব।’
আলোচনাসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, প্রখ্যাত সমাজতত্ত্বববিদ ও গবেষক ড. খন্দকার সাখাওয়াত আলী ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ সংগঠনটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।