ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী বলেছেন, গত সাড়ে নয় মাসে যা হয়েছে তাতে ৮০-৯০ শতাংশ তরুণ হতাশ। এনসিপি তরুণদের দল। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, তাদের যে জনপ্রিয়তা ছিল তাতে কিন্তু ব্যাপক ধস নেমে গেছে; এটা হয়তো তারাও বুঝেছে। তিনি বলেন, হতাশা একটি চক্রের মতো কাজ করে; এটা ভাইরাস।
একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, শ্রীলংকার সবাই মিলে আন্দোলন করে রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়েছে। তারপর তাদের যার যেটা কাজ সেখানে ফিরে গিয়েছেন।
শিক্ষকের কাজ ক্লাসরুমে যাওয়া ক্লাস নেওয়া, শিক্ষার্থীর কাজ ক্লাসরুমে যাওয়া, ব্যবসায়ীর কাজ ব্যবসা করা, সাংবাদিকের কাজ সাংবাদিকতা; যার কাজ তাকে করতে দিতে হবে; অন্যের কাজে কেউ অন্যায্য হস্তক্ষেপ করতে পারে না।সাইফুল আলম বলেন, এখন আপনি অপরাধ করছেন তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, লিগ্যাল অথোরিটি আছে। এখন আমি গিয়ে বললাম আপনি কেন এটা করছেন; আপনাকে সেই অধিকার কে দিয়েছে? দিনের পর দিন, সাড়ে ৯ মাসে এখনো দেখছি সেই অথোরিটিটা তারা পেয়েই যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
অর্থনীতিবিদরা প্রতিদিনই কমবেশি বলছেন; সিপিডি বলেছে। তারা বলছে, এই মুহূর্তে অর্থনীতিকে বাঁচাতে নির্বাচনটা জরুরি। এতদিন কিন্তু তারা বলেনি। তার মানে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হলে সিপিডিও বলে একথা।
সাইফুল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশের সব অর্থনীতিবিদই কিন্তু শ্বেতপত্র প্রণয়নে ড. ইউনূসকে সাহায্য করেছেন।
তারাই এখন বলছেন পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচন দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব ড. ইউনূসের সরে দাঁড়ানো। সিপিডির এই কথার অর্থ যদি দেখি, তার মানে ড. ইউনূস পারছেন না বা তার সরকার পারছে না। এটা না বুঝলে জনগণের হতাশা আরো বাড়বে।