Saturday , 20 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কুলাউড়া সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসাইনমেন্টের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
--প্রেরিত ছবি

কুলাউড়া সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসাইনমেন্টের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ স্কুলে এসাইনমেন্ট (মূল্যায়নপত্র) জমাদানের মাধ্যমে মেধার মূল্যায়ন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত এসব এসাইনমেন্ট প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে কিংবা নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে বাড়িতে বসে সাদা কাগজে সমাধান করতে হবে।

অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন করা হবে। কিন্তু বিনামূল্যে সরবরাহ করার নির্দেশ থাকলেও এসব এসাইনমেন্ট প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই টাকার নুন্যতম কোন অংশ বৈধ নয়।অবৈধ উপায়ে এভাবে বাণিজ্য শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যদিও প্রতিষ্ঠান এ অভিযোগ মানতে নারাজ। শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট ডাউনলোড ও ফটোকপিসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে সুবিধা দেয়ার নিমিত্তে এই টাকা নিচ্ছেন বলে তাদের অভিমত।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সেখানে ৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি এসাইনমেন্ট বাবদ নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা । সে হিসেবে প্রতি এসাইনমেন্ট জমা দানে কয়েক হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা শিক্ষকদের রোষানলে যাতে পড়তে না হয় তার জন্য প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারি না।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের একাধিক অভিভাবকেরা জানান, আমরা সন্তানদের সুশিক্ষা গ্রহণের জন্য সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে পাঠাই। কোন কারণে যেন লেখাপড়ায় ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য কষ্ট করে হলেও টাকা দেই। কিন্তু আমাদের এই দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে যদি তারা এটা করে তবে কার কাছ থেকে সুশিক্ষা নেয়ার জন্য পাঠাবো। আমরা চাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা নেয়া হয়না। এটা ফটোকপির জন্য নেয়া হয় যদিও এরকম নিয়ম নেই তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সুযোগটা দিচ্ছি এসাইনমেন্ট পিয়ন ও টিচাররা বাহির করে দেই।আর কেউ নিজে ডাউনলোড বাহির করলে টাকা নেয় না। তবে প্রতিষ্ঠানের কোন খাতে আমরা এই টাকা নেয় না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমি জানি না বিষয়টি তবে টাকা নেয়ার তো কোন সুযোগ নেই। যাদের টাকা নিয়েছে তারা যদি অভিযোগ করে তবে তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply