Tuesday , 15 October 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কুষ্টিয়া  দৌলতপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লীপ ফান্ডের টাকা লোপাটের অভিযোগ

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লীপ ফান্ডের টাকা লোপাটের অভিযোগ

 কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ভ্যাট ও আয় করের নামে বিদ্যালয় প্রতি বরাদ্দকৃত টাকা থেকে অতিরিক্ত হারে টাকা কর্তন, প্রাক্কলন মোতাবেক কাজ না করা, উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে কাজ করাসহ ২১৭টি প্রাইমারী স্কুলের স্লীপ ফান্ডের টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলা প্রাথমিক শি]ক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়, পিআডিপি-৪ এর আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ২১৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ের জন্য স্লীপ (স্কুল লেভেল ইমপ্র“ফমেন্ট প্ল্যান) সর্ব মোট ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯৫০০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর মধ্যে ২’শ পর্যন্ত শিক্ষার্থী থাকা ৯৫টি স্কুল কে ৫০ হাজারা টাকা করে, ৫’শ পর্যন্ত শিক্ষার্থী থাকা ১১৫ টি স্কুল কে ৭০ হাজার টাকা করে এবং ৫’শ বেশি শিক্ষার্থী থাকা ৭টি স্কুল কে ৮৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ এ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন করে সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় উন্নয়ন মূলক কাজ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা ছিল।কিন্তু খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লীপ গাইড লাইন অনুসরন করে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। এছাড়া সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক খরচ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ আয়কর (আইটি) কর্তন করার নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ভ্যাট আইটির কথা বলে ১৮ শতাংশ টাকা কর্তন করা হয়েছে। ফলে উপজেলা ২১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ টাকা বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়াও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে স্লীপ ওরিয়েন্টশন সভা, মা সমাবেশ প্রাক্কলন মোতাবেক কাজ সম্পন্ন না হলেও কাগজে কলমে কাজ দেখিয়ে স্লীপের টাকা উত্তোলন ও ব্যায় দেখানো হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের এমএসসি,পিটিএ কমিটির কাজ করার বিধান থাকলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পরিকল্পনা ছাড়াই কাগজ কলমে কাজ শেষ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা লোপাট হয়েছে।এছাড়া বাধ্যতামুলক ভাবে স্লীপ ফান্ডের টাকা থেকে প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের পথ নির্দেশক (ইন্টিকেটর) বাবাদ ২ হাজার টাকা ও বই রাখার আলমারী বাবদ ৭ হাজার টাকা করে কেটে নিয়েছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারা বলে অভিযোগ উঠেছে।এব্যাপারে সদ্য জাতীয়করন ১৭৭ নং কায়ামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আঃ সাত্তার ও প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান ভ্যাট বাদে স্লীপের টাকা পেয়েছিলাম ৫০ হাজার টাকা। অফিস থেকে ১৮ শতাংশ ভ্যাট আয়কর কেটে নিয়েছে। বিদ্যালয়ের পথ নির্দেশক (ইন্ডিকেটর) এখনো পাওয়া যায়নি। এগুলো শিক্ষা অফিস থেকে একযোগে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহিদা সিদ্দিকা জানান, সরকারী বিধি মোতাবেক স্লীপ ফান্ডের ভ্যাট ও আইটি কাটা হয়েছে। তাছাড়া স্লীপ ফান্ডের টাকার কোন অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবী করেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply