Thursday , 25 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ

তারাকান্দায় কৃষি প্রকল্প চালু না থাকায় বিপাকে কৃষকরা

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় গত ৭
বছরেও ১২্#৩৯; কৃষি প্রকল্প চালু না হওয়ায় উপজেলার হাজার হাজার কৃষক শুধু প্রকল্প
সুবিধা বঞ্চিতই নয় কৃষি বিপ্লবও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার জানান,
৩১৪.৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১৩টি ইউনিয়নের ১শত ৮৫টি গ্রাম নিয়ে ৩ লাখ
০৯ হাজার ৭ শত ২৬ জন অধ্যুষিত তারাকান্দা উপজেলার কৃষি পরিবারের সংখ্যা ৭২ হাজার ৬শত ৪২ জন। মোট আবাদ যোগ্য জমির পরিমান ২৫ হাজার ৯শত ১৩ হেষ্টর । মোট ফসলি
জমির পরিমান ৫৫ হাজার ১ শত ৪১ হেক্টর। বিসিআইসি ডিলারের সংখ্যা ১০জন,
বিএডিসি’র সার ডিলার রয়েছে। ৯জন, বীজ ডিলার আছেন ১৯জন, খুচরা সার
বিক্রেতা রয়েছেন ৫০ জন, কীটনাশক ডিলার ০৭জন, খুচরা কীটনাশক ডিলার ২ শত ২০জন, নার্সারির সংখ্যা ১০টি, রেজিষ্ট্রিকৃত আাইসিএম ক্লাব রয়েছে ৪টি ।এখানে
কৃষি ব্লক আছে ৩০টি । এক প্রশ্ন উত্তরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আল রানা
জানান, রবি মৌসুমে ২১ হাজার ৬ শত ৬০ হেষ্টর জমিতে বোরো ধান, ৭ শত হেক্টর জমিতে
সবজি, গোল আলু ২শ ৯০ হেষ্টর, মিষ্টি আলু ৮ হেক্টর, গম ৪৮ হেক্টর, সরিষা ৬শত হেক্টর,
মরিচ ৬৫ হেক্টর, পিয়াঁজ ৩০ হেষ্টর, রসুন ৩০ হেক্টর, ধনিয়া ৩৫ হেষ্টর , চীনা বাদাম ১হেক্টর
এবং ৩ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ আবাদ করা হয়। তিনি আরো জানান, খরিপ-১ মৌসুমে
রোপা আউশ আবাদ হয় ৬শত ২০ হেক্টর জমিতে, সবজি ৩শত ৫০ হেক্টর, পাটি ১৩০ হেক্টর,
মরিচ ৩৬ হেক্টর, হলুদ ২০ হেক্টর, আদা ২০ হেক্টর, পিয়াঁজ ৫ হেক্টর জমিতে। খরিপ-২
মৌসুমে রোপা আমন ২১ হাজার ৭শত ২৫ হেক্টর সবজি চাষ হয় ৩ শত ৬০ হেক্টর জমিতে ।
তারাকান্দায় বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭ শত ৬০ মে:টন ধান উৎপাদন হয়। চাহিদা আছে ৪৯
হাজার ৯শত ৮৮মেট্রিক টন, উদ্ধৃত ১লাখ ৭শত ৯২ মেট্রিক টন ধান এখান থেকে
বাইরে রপ্তানি করা হয়। কৃষিতে তারাকান্দা অপার সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের
প্রশিক্ষন, প্রদর্শনী, ভূর্তকি কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিষমুক্ত ফসল
উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পাকা ড্রেন নির্মাণ, পানির অপচয় রোধ, উন্নত
প্রযুক্তি, যান্ত্রিকীকরণ, সৌরবিদ্যুৎ পানি সাশ্রয়, পান উৎপাদন প্রযুক্তি ইত্যাদি নানা বিষয়ে ময়মনসিংহের সব উপজেলা সহ সারা দেশে এসব প্রকল্প চালু থাকলেও ভারাকান্দায় আজও এসব প্রকল্প চালু না হওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন কৃষক-কৃষানীরা। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার ট্রেনিং প্রোগ্রাম, উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ তৃতীয় পর্যায়ে প্রকল্প, পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে ফসল উৎপান প্রকল্প, সমম্বিত কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, খামার পর্যায়ে উন্নত পানি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, খামার যান্ত্রিকীকরণ মাধ্যম ফসল উপৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প (সাত) সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয় আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাইলট প্রকল্প, চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস প্রযুক্তি সম্প্রসারণ কর্মসূচি, ভাসমান বেডে সবজি ও মসল্লা চাষ গবেষনা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করার প্রকল্প, নিরাপদ পান উৎপাদন প্রযুক্তির সম্প্রসারণ কর্মসূচী, পন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প ও আইপিএম/আইসিএম প্রকল্পে কৃষককে মাঠ স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রকল্প। এ
নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা সহমত পোষন করেন। সব উপজেলায়
কৃষি কর্মকর্তার গাড়ি আছে কিন্তু আমাদের কৃষি কর্মকর্তার কোন গাড়ি নেই। যার
ফলে মাঠে কৃষকদেরকে সেবা দিতে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। কৃষি প্রাণ
তারাকান্দা উপজেলার ৭২ হাজার ৬শত ৪২ কৃষক পরিবারের দাবি কৃষি বিপ্লবকে
অগ্রগামি করার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারাকান্দার কৃষি ও কৃষকদের গুরুত্ব

অনুধাবন করে নির্দিষ্ট কৃষি বান্ধব ১২ প্রকল্প অবিলম্বে চালু করলে কৃষকরা উপকৃত হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply