ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের মেঘালয় পুলিশ। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে তার মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ভারতীয় বিএসএফ এবং মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট জৈন্তিয়া হিলস জেলার ডাউকি থানা পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতার স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পান্নার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়।
নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ শেষে শনিবার মেঘালয় পুলিশ পান্নার মরদেহ তামাবিল বর্ডার দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মরদেহ হস্তান্তরের সময় নিহতের ভাতিজা মো. কামরুজ্জামান খাঁন নাবিল উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় তিনি মারা যান।
তখন জানা যায়, শিলংয়ে পাহাড়ে উঠার সময় তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গত ২৬ আগস্ট ভারতের অভ্যন্তরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে উমকিয়াং থানা পুলিশ।
পিরোজপুরের পৈত্রিক নিবাসে পৃথক দ্বিতল ভবন করেছিলেন পান্না। তার এক ভাই ওই বাড়িতে থাকলেও সরকার পতনের পর থেকে তিনিও আত্মগোপনে আছেন। পান্নার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বেকুটিয়া গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তার যাতায়াত তেমন ছিল না।
আইরীন সরকারের উপ-সচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ভিপি ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পান্না আর বিয়ে করেননি। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে, তবে সে পালিত সন্তান বলে জানা গেছে।