চার দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে জাপানের টোকিওতে অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে নিক্কি এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একটি প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি তিনি।
নিক্কি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনূস একজন ছাত্রনেতাকে জানিয়েছিলেন যে— যদি দলগুলো সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছায়, তবে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন।’ এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বাংলাদেশে এই প্রশ্নের উত্তর দিইনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু প্রতিটি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চান, সে প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, যদি এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমেরিকার তুলা উৎপাদকরা আমাদের খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে’ এবং তারা ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কিছু রাজনৈতিক সংযোগ’ তৈরিতে সহায়তা করছে।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকার ‘কটন বেল্ট’ অঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে কংগ্রেস এবং সিনেটে যেসব প্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেন।
জ্বালানির বিষয়েও ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানি করলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও তা কেনা সম্ভব।
দেশীয় অর্থনীতি প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, আগের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে থাকা আরো ১১-১২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করা হয়েছে।
এই অর্থের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দুটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হবে। এ ছাড়া এটি দরিদ্র জনগণের জীবন বদলাতে এবং তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যবহৃত হবে বলে জানান তিনি।