Saturday , 20 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মসজিদে জুম্মার নামাযে দূরুদপাঠ নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ৩

মসজিদে জুম্মার নামাযে দূরুদপাঠ নিয়ে সংঘর্ষ, আটক ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে মসজিদে জুম্মার নামাজের দরুদ শরীফ পাঠ করার জেরে সুন্নি ও ওয়াহাবী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টায দিকে ভাদুঘর খাদেমপাড়া নুর জামে মসজিদে আহেলাতুল সুন্নাতুল জামাত (সুন্নি) ও হেফাজতে ইসলাম (ওয়াহাবী) মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দু-পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার ভাদুঘর খাদেমপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হাফেজ আব্দুল আহাদকে একই এলাকার মৃত রফিক মিয়ার ছেলে ও ওয়াহাবী সমর্থক সুহেল মিয়া জুম্মার নামাজের আজানের পূর্বেই দুরুদ শরীফ পাঠ করতে নিষেধ করেছিলেন। ইমামকে দরুদ পাঠে কেন? সুহেল বাঁধা দিলেন, সেই ব্যাপারে জিগ্যেস করলে, সুন্নি সমর্থক দেলোয়ার হোসেন লিটনসহ তার ভাতিজাকে ফয়সালকে সুহেল মসজিদ থেকে বের করে  মারধর করে।
এক-পর্যায়ে সালাউদ্দিন রকিসহ বেশ কয়েকজন সুন্নি সমর্থক তাদেরকে বাঁচাতে এলে সোহেলের ছোট ভাই ফারুকসহ ২০-২৫ জন ওয়াহাবী সমর্থক তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় সুন্নী সমর্থকদের অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে তাদের স্বজনরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন লিটন (৩৫)), সালাউদ্দিন রকি (২৯),  ফরিদ উদ্দিন (৫০), হেলাল উদ্দিন (৪০), আবু খায়ের (৬০), ফয়সাল মিয়া (৩০), সিয়াম (১৬), নিলুফা বেগম (৪০), আরও ৩ জন।
আহত দেলোয়ার হোসেন লিটন ও তার ছোটভাই সালাউদ্দিন রকিকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত লিটনের ভাগনে এড. মাসুদ পারভেজ জানান, দরুদ পাঠে নিয়ে এভাবে কেউ কাউকে মারতে পারেন। সুহেলের নেতৃত্বে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা চালিয়েছিল। আজকে তারাই আবার তার মামাকে মারধোর করেছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সঠিক বিচারের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুহেল মিয়া (৪৮), ফারুক মিয়া (৪৩) ও কাউতলীর ইমন মিয়া (২৯) তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে ও ২-৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply