Monday , 14 October 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
লক্ষ্মীপুরে ৩০ কোটি টাকা ছাড়াবে সুপারির ফলন
--প্রেরিত ছবি

লক্ষ্মীপুরে ৩০ কোটি টাকা ছাড়াবে সুপারির ফলন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের শহরসহ বিভিন্ন জেলায় চলে যাচ্ছে এ জেলার সুপারি।
এবারো সুপারির ফলন ভালো হয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায়। এক পণ সুপারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ৮০টি সুপারিতে এক পণ হিসাব ধরা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ছোট বড় মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও বাগানে প্রায় ৪৮৫ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান আছে। এ চলতি বছরে এসব বাগানের সব গাছেই সুপারির ভালো ফলন দিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলার সুপারি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রফতানি হয়। এতে উপজেলায় ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর বাজারমূল্য ৩০ কোটি টাকার বেশি হবে।
জানা গেছে, ফলন বেশি হওয়ায় মৌসুমের শুরুতেই বাজার সয়লাব হয়ে গেছে সুপারিতে। বাজারে সুপারির অনুপাতে ক্রেতা কম। এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারী ব্যবসায়ীরা না আসায় কম দামে বাধ্য হয়ে স্থানীয় পাইকারদের কাছে সুপারি বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। এ বছর এক কুড়ি (৮০টি) সুপারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কম।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে এই সুপারি ৬০ শতাংশ পানিভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে রাখে। ৪০ শতাংশ সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ ও রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।
রায়পুর পৌরসভার বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার জানান, রায়পুর উপজেলার প্রতিটা বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য সুপারি আসছে। এখানকার সুপারি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায়। এটা লক্ষ্মীপুর বাসীর জন্য ভালো দিক। এখানকার মানুষ বলতে পারবে, আমাদের সুপারি সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে।
রায়পুরের আরেক ব্যবসায়ী ও গ্রামের চাষি বলেন, রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলের তিনটি ইউপির শতকরা ৯০ ভাগ পরিবার সুপারি উৎপাদনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি হাট বাজারে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দৈনিক ১৫ থেকে ২০ ট্রাক (পাঁচ টন) সুপারি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছর ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ আমাদের কে ভালো রাখে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, রায়পুরে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। সামনে বলা যায় যে, আরও ভালো হবে। কৃষকরা যদি চায় তাহলে আরও বেশি সুপারির বাম্পার ফলন করতে পারে।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুরে জমিতে সুপারি আবাদ হচ্ছে। সুপারি আবাদে এ জেলার অর্থনীতিতে নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে। সুপারি চাষে বাড়তি ঝামেলা ও খরচ নেই। একবার চাষ করতে পারলে কয়েক বছর এক আবাদেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় হতে সুপারি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply