Tuesday , 23 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
ইনচার্জের বিকাশে আসে মোটা অংকের টাকা !কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি রুখবে কে?

ইনচার্জের বিকাশে আসে মোটা অংকের টাকা !কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি রুখবে কে?

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এখন প্রকাশ্যে। মহাসড়কে যান চালাতে হলেই চাঁদা দিতে হবে। এমন রীতিই চালু করেছেন কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ। উপায় না পেয়ে মেনেও নিয়েছে যান চালকেরা। প্রতিনিয়তই দিচ্ছেন চাঁদা। কুষ্টিয়ার মহাসড়কে অবৈধ যানগুলোও টাকার বিনিময়ে পাচ্ছে বৈধতা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।অনুসন্ধানে দেখা যায়, কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাসের নেতৃত্বে টিম গঠনেরর মাধ্যমে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের যান থেকে তোলা হচ্ছে প্রকাশ্যে চাঁদা। মহাসড়কে চলাচলরত মালামাল বহনকারী প্রতিটি ট্রাক থেকে তোলা হচ্ছে ২০০ থেকে ২০০০ টাকা। যার সত্যতা মিলেছে অনুসন্ধানী টিমের ভিডিও ফুটেজে। যেখানে দেখা যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে চলাচলরত প্রতিটি যান থেকে তুলছেন টাকা। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে কুষ্টিয়া মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো, নসিমন, করিমনসহ তিন চাকার স্টারিংযুক্ত যানগুলো নির্বিঘ্নে চালাতে হাইওয়ে পুলিশকে দিতে হয় নিয়মিত মাসোহারা।  যদিও সরকার মহাসড়কে অবৈধ যানচলাচল বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন তবুও কুষ্টিয়ায় মহাসড়কে অবৈধ যানগুলো চলছে হরহামেসাই। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী একাধিক ট্রাক ড্রাইভার অভিযোগ করে বলেন, মহাসড়কে গাড়ী চালাতে হলে প্রতিনিয়তই হাইওয়ে পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়। কোনো যানে ১০০ কোনো যানে ২০০ বা তারও বেশী দিতে হয়। এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এক বৃদ্ধ জানায়, কুষ্টিয়া বাইপাস সড়কে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা প্রতিনিয়তই চলাচলরত যান থেকে টাকা তুলে। যা আজ নয়, প্রতিদিনেরই বিষয়।অন্যদিকে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মূল হাইওয়েতে যেসকল সিএনজি চলছে তারা অফিসার ইনচার্জ জুলহাসের সাথে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা করে কন্টাক করে চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কুষ্টিয়া কুমারখালী খোকসা পর্যন্ত যে সমস্ত সিএনজি চলছে সেগুলোও ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কন্টাকের মাধ্যমে চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএনজি ড্রাইভার জানিয়েছে।এ বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কোন ধরনের টাকা উত্তোলন করে না। এ বিষয়ে রিজিওনাল অফিসের হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি, যদি সত্য হয় জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে প্রতিটা ট্রাক মালিক ড্রাইভার হেলপার অটো, নসিমন করিমন আলমসাধুর চালকসহ এলাকাবাসী সবাই অফিসার ইনচার্জ জুলহাসের উপর ক্ষুব্ধ। তারা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এই অফিসার ইনচার্জ জুলহাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান। Attachments area

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply