Thursday , 25 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ

কুয়াকাটায় জনগণের রায়ে নগরপিতা নির্বাচিত হলেন স্বতন্ত্র আনোয়ার হোসেন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত কুয়াকাটা পৌরসভা। যুগ যুগ ধরে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের কালের সাক্ষী বহন করছে এই কুয়াকাটা । গত ৫ বছর পূর্বে প্রথম নির্বাচনে এই কুয়াকাটা পৌরসভায় নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আব্দুল বারেক মোল্লা। সোমবার অনুষ্ঠিত পৌরসভাটির দ্বিতীয় নির্বাচন  কঠোর নজরদারীতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলাধীন সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

এ পৌরসভায় মোট ভোটার ছিল ৮ হাজার ১ শত ২২ জন। মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী ভোটার। এরমধ্যে ইভিএমে ৬ হাজার ১৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। হিসেবে অনুযায়ী শতকরা ৭৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

এতে জগ মার্কার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ৩ হাজার ৩ শত ৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ২ হাজার ৬ শত ৮০ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচন চলাকালীন সময়ে দৈনিক সকালবেলার এ প্রতিবেদককের  কুয়াকাটা নির্বাচন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন চলমান।  যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের ফোর্স প্রস্তুত রয়েছে। মহিলা ও পুরুষ ভোটাররা দীর্ঘ লাইন’র মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

এর মাধ্যমে নৌকার ঘাঁটি বলে পরিচিত নৌকা হেরে যায়। নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুল বারেক মোল্লাকে ৬ শত ৫৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জগ মার্কার স্বতন্ত্র মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ জানিয়েছেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরামহীনভাবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত চলে। ৯ টি ভোট কেন্দ্রে ৩৬ টি বুথে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন বলে ভোটারদের অভিমত ছিলো। এমন ভোটের আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও আনসার সদস্যসহ একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে ভোট কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

৪ মেয়র প্রার্থী, ৩১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ৮ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে লড়েছেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply