Friday , 19 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে ঘূর্ণিঝড়
--প্রতীকী ছবি

কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে ঘূর্ণিঝড়

ধর্ম ডেস্ক:

ঘূর্ণিঝড়, অতি বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা, কখনো কখনো এগুলো আজাব হিসেবে নিপতিত হয়। যেগুলো মানুষের কৃতকর্মেরই ফল। মানুষের পাপাচারের কারণেই জলে-স্থলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। এটা মহান আল্লাহরই কথা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদেরকে তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ হতে) ফিরে আসে।’ (সুরা রোম, আয়াত : ৪১)

তবে মহান আল্লাহ মানুষের সব পাপের জন্যই বিপর্যয় দেন না, বেশির ভাগই তিনি ক্ষমা করে দেন। যদি তা না হতো, তাহলে পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বই থাকত না। এ জন্য মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের যে বিপদাপদ ঘটে তা তো তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা আশ-শুরা, আয়াত : ৩০)

বাতাসের তীব্রতা ও গতির ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণি বিভাজন করা হয়। যেমন: ১. নিম্নচাপ-বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। ২. গভীর নিম্নচাপ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১.৮৪ থেকে ৬১.৫৬ কিলোমিটার। ৩. ঘূর্ণিঝড় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১.৫৬ থেকে ৮৭.৪৮ কিলোমিটার। ৪. প্রবল ঘূর্ণিঝড় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯.১ থেকে ১১৮.২৬ কিলোমিটার। ৫. হারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৯.৮৮ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে।

প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বইবার সময় কখনো ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক বাতাস ঘর্ষণ খেয়ে বিদ্যুত্চ্ছটার সৃষ্টি করে ও তাতে বিচ্ছুরিত হয় আলোকরশ্মি। একে বলা হয় ‘সেন্ট এলমোর ফায়ার’। ১৯৬০ সালের চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপ উপকূলের এবং ১৯৯১ এর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সময় এ ধরনের অগ্নিঝড় মানুষ দেখতে পেয়েছিল। যাতে গাছের পাতা-পল্লব পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া বিজ্ঞানে এ ধরনের ‘অগ্নিক্ষরা ঘূর্ণিঝড়’ বলে কোনো শব্দ নেই। অথচ কোরআনে এ ধরনের দুর্যোগেরও বর্ণনা পাওয়া যায়।

এ ধরনের ঝড় বেশির ভাগ মরুভূমিতে হয়। মরুভূমিতে সংঘটিত এ প্রকারের ঝড়কে বলা হয় ‘লুহাওয়া’।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply