Friday , 29 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
প্রিন্স ফিলিপ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য
--সংগৃহীত ছবি

প্রিন্স ফিলিপ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গ্রিসের এক রাজপরিবারের সন্তান ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। বিপ্লবীদের অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার পরিবার। পরে তারা ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে নৌবাহিনীর ক্যাডেট প্রিন্স ফিলিপ রানি প্রিন্সেস এলিজাবেথের মন জয় করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রিন্স ফিলিপের বাবা ছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। হেলেনস এর রাজা প্রথম জর্জের ছেলে ছিলেন ফিলিপের বাবা। ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের মাউন্টব্যাটেনরা ছিলেন ফিলিপের মায়ের দিকের আত্মীয়।

জানা গেছে, প্রিন্স ফিলিপের জন্ম সনদে লেখা জন্ম তারিখ এবং প্রকৃত জন্ম তারিখ আলাদা। জন্ম সনদে লেখা আছে, ফিলিপের জন্ম তারিখ ১৯২১ সালের ২৮ মে। তবে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৯২১ সালের ১০ জুন।

ফিলিপের মা পরবর্তী জীবনে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে মানসিক রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। মায়ের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের যোগাযোগ ছিল একেবারেই কম।

প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথের প্রথম দেখা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময়। প্রিন্সেস এলিজাবেথের বয়স তখন ছিল মাত্র ১৩ বছর। 

ওই সময় রাজা ষষ্ঠ জর্জ গিয়েছিলেন ডার্টমুথ কলেজ সফরে। তার সঙ্গে প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রিন্সেস মার্গারেট ছিলেন। প্রিন্স ফিলিপ ওই সময় সেখানে নৌবাহিনীর এক তরুণ ক্যাডেট। এই দু’জনকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রিন্স ফিলিপের ওপর। 

ওই সময় এলিজাবেথের মনে জায়গা করে নেন ফিলিপ। পরে দুজনের মধ্যে প্রেম এবং চিঠি চালাচালি শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রিন্স ফিলিপ বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণ পান। এমনকি এলিজাবেথের ঘরের টেবিলে শোভা পেত প্রিন্স ফিলিপের ছবি।

প্রিন্সেস এলিজাবেথকে ১৯৪৩ সালে প্রিন্স ফিলিপ আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তাদের বিয়েতে রাজপরিবারের কেউ কেউ অবশ্য আপত্তি করেছিলেন। নানা ঝামেলা শেষে বাগদানের আগে প্রিন্স ফিলিপকে তার গ্রিসের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়েছিল। এরপর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে হয়। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নেওয়ার পর ফিলিপের নাম বদলে মাউন্টব্যাটেন রাখা হয়। মায়ের দিকের পদবি এটি।

১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের পর ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর হাতে বোনা সুতা দিয়ে তৈরি এক লেস, যার ওপর লেখা ছিল ‘জয় হিন্দ’।

প্রিন্স ফিলিপ প্রকৃতি এবং বন্য প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করেন বলে পরিচিতি থাকলেও ১৯৬১ সালে ভারত সফরে গিয়ে তিনি একটি বাঘ মেরে ফেলেছিলেন। সেই বাঘের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তিনি।

প্রিন্সেস ডায়ানার প্রেমিক দোদি আল ফায়েদের বাবা মুহাম্মদ আল ফায়েদ অভিযোগ করেছিলেন, ডায়ানাকে প্রিন্স ফিলিপের নির্দেশে হত্যা করা হয়।

সূত্র : বিবিসি

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply