Friday , 19 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
বাবুনগরী, মামুনুল, ফয়জুলের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

বাবুনগরী, মামুনুল, ফয়জুলের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

অনলাইন ডেস্ক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেওয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনাইদ বাবুনগরী, মুহাম্মদ মামুনুল হক ও খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলা দুটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দুটি করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি আব্দুল মালেক মশিউর। শুনানি নিয়ে হাকিম সত্যব্রত শিকদার অভিযোগ আমলে নেন এবং তদন্তের আদেশ দেন। আগামী ৭ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম বুলবুলের করা মামলায় হেফাজতের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ)(১), ১২৪(ক) ও ৫০৫(ক) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামুনুল হক বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

আব্দুল মালেক মশিউর শুধু মামুনুল হককে আসামি করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১৫৩ ও ১২৪(ক) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

বুলবুলের মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ইসলামকে ‘ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে’ আসামিরা ধর্মের আজগুবি ব্যাখ্যা দিয়ে ‘বিদ্বেষপূর্ণ, কাল্পনিক, উত্তেজনাকর ও উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁরা বাঙালি মুসলমানসমাজের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান সম্পর্কে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন।

এই আরজিতে আরো বলা হয়, আসামি মামুনুল হক গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন। ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধ না করলে আরেকটি শাপলা চত্বরের মতো ঘটনা ঘটানোর হুমকি দেন তিনি।

আব্দুল মালেক মশিউরের করা অভিযোগে বলা হয়, আসামি মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি বলেছেন, ‘লাশের পর লাশ পড়বে, তবু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গড়তে দেওয়া হবে না।’

আসামি সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়। ওই সমাবেশে তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের শপথ করান সাধারণ মুসল্লিদের।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ নভেম্বর আসামি জুনাইদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে এক সভায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলার হুমকি দেন।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ করেছেন, আসামিদের এ ধরনের বক্তব্যের ফলে আসামিদের নির্দেশে মধুর ক্যান্টিনে মধুদার ভাস্কর্য ও কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাস্কর্য ভাঙা হচ্ছে।

এদিকে গত শুক্রবার কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মো. জিশান মাহমুদ রবিবার জুনাইদ বাবুনগরী ও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply