বইটি পড়ার অনেকদিন হলো নিংড়িয়ে গেলাম, গোলাম হয়ে গেল কবিতা আল্লাহর ইশারায় ব্যথিতের দুই চোখে। মরীচিকার সামনে চোখের ধারা মিশে গেল মহলীনবিষ অসংখ্য কাব্য কথায়। মানুষের পরিত্যক্ত মন যেমন আবার বেঁচে ওঠে কর্তব্যের যন্ত্রণায় ঋষি গুণে। সেরকমই একটি উপন্যাস নিংড়িয়ে গেছে মিশরীয় লেখক মহসিন আরিশির লেখা জীবনালেখ্য গ্রন্থকথায় -শেখ হাসিনা যেখানে পৃথিবী গ্রন্থের নির্যাস মৌলিকত্ব। সদ্ভাব আর কাব্যকথায় ওজো-গুণ সম্পন্ন যেন এ গ্রন্থের প্রতিটি মুহূর্তের বেঁচে ওঠা।
বুলেটের গতির চেয়েও ওজন যেমন সভ্যতা ছিড়ে বেঁচে যাওয়া পৃথিবীর নিষ্পাপ বর্ণমালার কবিতা খানিক। খানিক ধরতে পারা যায়, খানিক থাকে ঘুমন্ত কবরে পবিত্র শহীদের আত্মার মতো।
মহসিন আরিশি কোন সদগুণ থেকে এমন কাব্য চর্চার গুণাগুণ পেয়েছিলেন জানিনা, তবে তিনি অধ্যবসায় চিনে নিতে পেরেছেন। চিনে নিতে পেরেছেন যেমন সমগ্র পৃথিবী গ্রন্থের উৎকৃষ্ট অধ্যায়টি।
উপন্যাসটি ইংরেজিতে লেখা হলেও উপন্যাসের সহজ অনুধাবন মানব মনকে জীবন্ত করে তুলবে বারবার। মরিচা পড়া ধাতব মনে বারবার শানিত করবে মানুষের পবিত্র কর্তব্য। মাগরেব থেকে দুদিক পর্যন্ত বয়ে গেছে যেখানে মরমী সংগ্রামী জীবন কথা।
এতো গভীরভাবে, ঘটনার পর ঘটনা শেখ হাসিনার জীবনকে যেভাবে চেপে ধরেছিল তা হয়ত এতো বিস্তারিতভাবে আমাদের জানা সম্ভব হতো না যদি না এ ধরণের একটি পরিশ্রমলব্ধ গবেষণা মূলক উপন্যাস আমরা পড়ার সুযোগ না পেতাম। মহসিন আরিশিকে অনেক সাদুবাদ ও ধন্যবাদ তার এই পরিশ্রম লব্ধ মহাকাব্যিক উপন্যাসের জন্য।
“ডিভাইন ডেসটিনি- দ্য লিজেন্ড অব আ ফাদার, আ ডটার এন্ড দ্য হলি বন্ড”
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন