Friday , 19 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সিরাজদিখানে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ

সিরাজদিখানে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মানসিক ভারসাম্যহীন আসলাম বেপারী নামে এক যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। সে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের উত্তর কুসুমপুর গ্রামের (বৌ-বাজার) এলাকার আবুল বেপারীর ছেলে। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক আসলামের দীর্ঘদিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ওই ইউনিয়নের অনেক বাসিন্দা।
২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সরকারি বিক্রমপুর কে.বি কলেজে গিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে বিভিন্ন ভবনের জানালার কাচ লাঠি দিয়ে ভেঙে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিতে আসলে কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক খ. ম.আ রবকে লাঠি দিয়ে পায়ে সজোরে আঘাত করে এবং কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক এস এম ফজলে রাব্বির মটর সাইকেলের ব্যাকলাইট এবং লুকিংগ্লাস ভেঙে ফেলে। কলেজের কম্পিউটার অপারেটর বাচ্চু মিয়া জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পতাকার রশিটিও ছিড়ে ফেলে। আমরা এগিয়ে আসলে দ্রত পালিয়ে যায়। 
ইছাপুরা ইউনিয় পরিষদ সংলগ্ন চায়ের দোকনদার সুলতান হাওলাদার বলেন এইডারে মাইরাহালান দরকার কদিন আগে আমার আতে বারি দিছে। আরেক পান দোকানদার অলিমউদ্দিন বলেন এই ছেঁড়াডায় দেহো আমার কপালে লাডি দিয়া গুতা দিয়া কাইটা হালাইছে। ইউনিয়ন পরিষদ চৌকিদার মনির বলেন আমাদের পরিষদ ভবনের পিছনের জানালার কাচ ভেঙে ফেলছে।
কুসুমপুর- মালখানগর রাস্তায় চলাচলকারী অটোরিকশায় যাতায়াত করা যাত্রীদের মারতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় তরুণ-যুবকরা ধরে এনে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদে শিকল দিয়ে বেধে রাখে। পরে তার পরিবারে খবর দিলে আসলামের মা আছমা বেগম ও তার ছোট ভাই পিন্টু এসে অনুরোধ জানালে, মানবিক কারণ বিবেচনা করে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল মতিন হাওলাদার তাদের জিম্মায় তাকে বুঝিয়ে দেন।
সরেজমিনে কুসুমপুর গিয়ে ক’জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসলাম বছরে দুই তিন মাস পাগলামি করে কিন্তু সে শিক্ষিত। অনেকেই বলেন সে এলাকার বাচ্চাকাচ্চাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে  এবং বিভিন্ন সময় উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় ঘুরাফেরা করে। আসলাম অনেকের আর্থিক ক্ষতি করে ছেলেটা সুশিক্ষিত হটাৎ হটাৎ এমন আচরণে আমরাও হতভম্ব হয়ে যাই। বৌ- বাজারে দোকানদার তুষার ঢালির জানান কয়েকবার আমার দোকানের লাইট ভেঙে ফেলেছে।
আসলামের মা আছমা বেগম কথা বলতে রাজি না হলেও আসলামের ছোট ভাই পিন্টু বেপারী বলেন আমার ভাই আর জাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে এজন্য তাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখবো।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply