তখনও সামরিক শক্তি প্রয়োগই শেষ অবলম্বনের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নি। ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে গোপন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ বিষয়ে টনি ব্লেয়ারের হাতে লেখা একটি প্রতিশ্রুতিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব কথা বলা হয়েছে ইরাক যুদ্ধ নিয়ে স্যার জন চিলকোট রিপোর্টে। তিনি ‘ইরাক ইনকোয়ারি রিপোর্ট’ সম্পন্ন করে তা ওয়েস্টমিনস্টারে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের হাতে তুলে দিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ইরাকে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র আছে এটা নিশ্চিত করে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা যাচাই করা হয় নি। এ রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর যেকোন ভুলভ্রান্তির দায়িত্ব নিতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।
ওই যুদ্ধে যেসব বৃটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ওটা ছিল একটি ব্যর্থ যুদ্ধ। তারা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা উড়িয়ে দেন নি। এই যখন অবস্থা তখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ের ওপর হাউজ অব কমন্সে বিতর্কের জন্য দু’দিন ধার্য করার ঘোষণা দেন তিনি।
ওদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালানো হয়েছিল। ‘ইরাক ইনকোয়ারি রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ইরাক আগ্রাসন শুরু হওয়ার আট মাস আগে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ‘যত যা-ই হোক, আমি আপনার সঙ্গেই থাকবো’।
ফলে চিলকোর্ট রিপোর্টে টনি ব্লেয়ারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। জবাবে টনি ব্লেয়ার বলেছেন, তিনি ইরাক যুদ্ধে গিয়েছিলেন সুস্থ বিশ্বাসের ভিত্তিতে। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করাই ছিল উত্তম চিন্তা। ইরাক যুদ্ধকে বর্তমানের সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখতেও অস্বীকার করেন টনি ব্লেয়ার।