কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়ে বাঁচলেন কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষের অর্থ নেয়ার অভিযোগ পাওয়ায় খোকসাতে শাস্তিমুলক বদলী করেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন।
বিএনপির কট্টর সমর্থক এই কর্মচারি দীর্ঘ দিন কুষ্টিয়াতে চাকরি করার সুবাধে নিজ নামে ও বে-নামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ।
সুত্র জানা গেছে, কুষ্টিয়া সুগার মিলের কর্মকর্তা সেতাফুর রহমান তার নিজ নামে একটি বন্দুকের লাইসেন্স করেন। কিছুদিন পূর্বে তিনি মারা গেলে পরিবারের সকল সদস্য একমত হয়ে মৃত সেতাফুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান এলেনের নামে বন্দুকের লাইসেন্স হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এলেন সমস্ত কাজপত্র নিয়ে হাজির হন অস্ত্র লাইসেন্স নবায়ন করার দায়িত্বে থাকা অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনের কাছে। সুযোগ বুঝে আনোয়ার হোসেন এলেনের কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দেয়ায় কাজ না করে এলেনকে ঘুরাতে থাকেন দিনের পর দিন। ঘুষ ছাড়া কাজ হবে না বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আনোয়ার। এলেন বাধ্য হয়ে আনোয়ার হোসেনকে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। ফাইলের কিছু কাজ এগিয়ে এলিনের কাছে আরো অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন আনোয়ার। এলেন আর কোন টাকা দিতে পারবে না জানালে তার আবেদন ফাইল বন্দি করে রেখে দেন আনোয়ার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এলেন স্মরনাপন্ন হন সাংবাদিকদের।
গত বুধবার সাংবাদিকরা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষনিক খোকসাতে বদলী করা হয় এবং ঘুষের টাকা ফেরৎ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে দুর্নীতিবাজ এই কর্মচারি গত বৃহস্পতিবার এলেনকে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দেন।
ঘুষের টাকা নেয়া ও ফেরত দেয়ার ব্যাপারে স্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাকা ফেরৎ দিয়েছি। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের কাছে মজুদ আছে।
ঘুষের টাকা নেয়া ও ফেরত দেয়ার ব্যাপারে স্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাকা ফেরৎ দিয়েছি। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের কাছে মজুদ আছে।
ভুক্তভোগী এলেন জানান,জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আনোয়ার হোসেন আমাকে তার ভাইয়ের কুষ্টিয়া ইসলামী ব্যাংকের থাকা হিসাবের মাধ্যমে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলা দুর্নীতিবাজ এই কর্মচারির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র অারো জানায়,আনোয়ার খোকসায় বদলী হলেও তিনি কুষ্টিয়ায় থাকার জন্য জোর তদবীর শুরু করেছেন। ভুক্তভোগী মহল দুর্নীতিবাজ এই কর্মচারির বিরুদ্ধে তদন্ত করে তার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলা দুর্নীতিবাজ এই কর্মচারির বিরুদ্ধে দুদকে মামলা ও অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র অারো জানায়,আনোয়ার খোকসায় বদলী হলেও তিনি কুষ্টিয়ায় থাকার জন্য জোর তদবীর শুরু করেছেন। ভুক্তভোগী মহল দুর্নীতিবাজ এই কর্মচারির বিরুদ্ধে তদন্ত করে তার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।