গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধিঃ
বিয়ে হয়েছে প্রায় ৫ বছর। ৩বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ে’র আগে বেকার থাকলেও বর্তমানে স্বামী মোঃ আকমল শেখ সরকারি চাকরী করে। আর চাকরী পাওয়ার পর থেকে স্ত্রীর প্রতি চলে আসে অনিহা যার কারনে শুরু হয় অস্বাভাবিক নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবা’র বাড়ী এসে আশ্রয় নেয় এমন অভিযোগ করেছেন মোছাঃ মুক্তা খাতুন (২৪) নামের একটি গৃহবধূ।
রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সিরাজ খার পাড়ার আঃ জলিল শেখের মেয়ে মুক্তা’র প্রতিবেশী আলমাছ শেখের ছেলে আকমল শেখের সাথে প্রেম বিনিময় হয়। এর পর বাড়ী’র কাউকে না জানিয়ে দুইজনের ইচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়। পরবর্তীতে এই বিয়ে দুই পরিবারের সদস্যরা মেনে নেয়। এর মধ্যে মুক্তা ও আকমলের সংসারে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আকমল চাকরী করার কারণে বাড়ীতে নিয়মিত থাকতে পারেন না। শ্বশুর-শ্বাশুরীর কাছেই থাকতে হতো মুক্তা’র। এদিকে বিয়ে মেনে নিলেও শ্বাশুরীর নির্যাতন শুরু হয় স্বামীর বাড়ীতে। প্রথমে নির্যাতনের পরিমান কম থাকলেও দিন দিন বৃদ্ধি পায়। কারণে-অকাররে মুক্তা’র উপর চলে শারীরিক নির্যাতন। এভাবেই কেঁটে যায় প্রায় ৫ বছর। এখন নির্যাতনের সাথে যোগ হয় ৫লাখ টাকা যৌতুক দিতে হবে। না দিলে তালাক দেওয়া হবে।
মোছাঃ মুক্তা খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দুই পরিবারের কাউকে না জানিয়ে আমরা বিয়ে করেছি। আমাদের একটি সন্তান হওয়ার পর দুই পরিবারের সদস্যরা বিয়ে মেনে নেয়। তখন আমার বাবা নগদ টাকা ও স্বর্নালস্কার দেয়। এতে আমার বাবার প্রায় ৩লাখ টাকা ব্যয় হয়। কিন্ত এখন আবারও আমার কাছে ৫লাখ টাকা যৌকুক দাবি করছে আমার শ্বশুর বাড়ী লোকজন।
এ ব্যাপারে মুক্তা’র স্বামী আকমল শেখের সাথে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
মুক্তা’র শ্বশুর আলমাছ শেখ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সঠিক নয়। বরং আমরা তাকে বাড়ীতে নিতে চাইলে সে যায় না।
Home » দৈনিক সকালবেলা » বিভাগীয় সংবাদ » দেশগ্রাম » গোয়ালন্দে গৃহবধু মুক্তা স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাবা’র বাড়ী আশ্রয়