কামাল হোসেন, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:
ঘন-কুয়াশার কারনে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সারে ১০টা শুক্রবার ভোর সারে ৫ পর্যন্ত ৭ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে ৪টি ফেরি আটকা পড়ে। এ ছাড়া দুই পারে কয়েকশত ছোট-বড় যানবাহ আটকা পড়ে। এ সময় আটকা পড়া ফেরিতে ও ঢাক-খুলনা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১১ টায় দৌলতদিয়াঘাট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ কয়েক শত যানবাহন আটকা পড়ে পাড়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। এ সময় অনেক যাত্রীরা পায়ে হেঁটে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছান। দুরপাল্লার যাত্রীরা যানবাহনের মধ্যেই আটকে থেকে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহান। যানজটের সুযোগ নিয়ে অনেক রিক্সা,অটোরিক্সা ও মাহেন্দ্র চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, ঢাকায় আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও ঘন-কুয়াশায় ৭ ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকা একাকার হয়ে যানবাহনের লাইন আরো দীর্ঘ্য হয়। সম্মেলনে যোগদানের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই দৌলতদিয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে এর পর রাত ১০টার পর থেকে কুয়ার চাদরে নদী ঢেঁকে গেলে ফেরি চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। রাত সারে ১০টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্তৃপক্ষ ফেরি বন্ধ করে দেয়। এ সময় দেশের দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাত্রী বোঝাই বাসগুলো দৌলতদিয়া ঘাট পৌঁছাতে না পেরে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এ অবস্থায় তারা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পায়ে হেটে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছায়। এ সময় ঘন্টার পর ঘন্টা শিশুরা খাবার খেতে না পেয়ে কান্না-কাটি করতে দেখা যায়। প্রকৃতির ডাক সারতে সড়কের আশ-পাশের বাড়ীগুলোতে যেতে দেখা যায়।
দৌলতদিয়াঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র ম্যানেজার আব্দুল্লা আল মামুন জানান, ঘন কুয়াশার কারনে রাত সারে ১০টায় থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কুয়াশা কেটে গেলে ভোর সারে ৫টায় আবার চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ ঘন্টা কুয়াশার কারনে ফেরি বন্ধ থাকায় মহাসড়কে কয়েকশত যানবাহন আটকা পড়েছে। খুব দ্রুত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক পর্যায় আসবে।
Home » দৈনিক সকালবেলা » বিভাগীয় সংবাদ » দেশগ্রাম » ঘন-কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ