হবিগঞ্জের গৌরব বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক (৯০) এর জানাযার নামাজ ৬ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় তাহার নিজ হাতে গড়া উমেদনগর টাইটেল মাদ্রাসার শাহী ঈদগাহে তাহার বড় ছেলে মাওলানা মাসরুল হক ইমামতি করেন। জানাযার নামাজে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে অংশ নেন লাখ – লাখ মুসল্লীগন। আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক ছিলেন দেশবরণ্য হাদীস বিশারদ শ্রেষ্ট তাফসীরবিদ, শীর্ষ আলেমদের অন্যতম। তিনি ১৯৩৮ সালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালি গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মাওলানা নুরুজ্জামান ডাক নাম আব্দুন নুর তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক, রায়ধর মাদ্রাসায় কিছু দিন লেখাপড়ার পর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় চলে যান। ১৯৬০সালে হাটহাজারী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন, উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাকিস্তানের লাহোর গমন করেন। জামিয়া ইসলামীয়া নিউটাউন করাচি থেকে তাখাসসুসের সনদ হাদীস করেন। এরপর চলে যান বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। ১৯৬২ সালে শায়খুল হাদীস আল্লামা জাকারিয়া ফখরুদ্দীন বালিয়াবী (রাহঃ)এর ফুযুজও বারাকাত গ্রহন করে খুসুসী সনদ লাভ করেন। তাফাজ্জুল হক ১৯৬৩ সালে দেশে ফিরেই জামেয়া সাদিয়া রায়ধরে অবৈতনিক শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি তার বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনের সূচনা করেন। কুমিল্লায় তিন বছর শিক্ষকতার পর ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস পদে নিযুক্ত হন এবং তারাকান্দায় একটি মসজিদ, ঈদগাহ ও মদীনাতুল উলুম তারাকান্দা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি সেহড়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস নিযুক্ত হন।খলিফায়ে মাদানী হযরত মাওলানা বদরুল আলম শায়েখে রেঙা (রাহঃ) কর্তৃক ১৯৭৯ সালে তিনি খেলাফত প্রাপ্ত হন। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি জামেয়া ইসলামিয়া -আরাবিয়া উমেদনগর হবিগঞ্জের মহাপরিচালক ও শাইখুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করে আসাবস্হায় মৃত্যুবরণ করেন। তাহার হাতে গড়া লাখ-লাখ হাফেজ, মাওলানা, মুফতি ও অসংখ্য ছাত্র -ছাত্রী রয়েছে। তাহার মৃত্যুতে হবিগঞ্জবাসী তথা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিসকে হারিয়ে শোকে ভাসছে। জানাযার নামাজে এম পি, জেলা প্রশাসক, মেয়র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগন ও সাংবাদিকবৃন্দসহ লাখ -লাখ মুসল্লী অংশগ্রহন করেছেন।
শায়খুল হাদীস আল্লামা তাফাজ্জুল হকের জানাযায় লাখ -লাখ মুসল্লীর ঢল
হবিগঞ্জের গৌরব বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক (৯০) এর জানাযার নামাজ ৬ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় তাহার নিজ হাতে গড়া উমেদনগর টাইটেল মাদ্রাসার শাহী ঈদগাহে তাহার বড় ছেলে মাওলানা মাসরুল হক ইমামতি করেন। জানাযার নামাজে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে অংশ নেন লাখ – লাখ মুসল্লীগন। আল্লামা হাফেজ তাফাজ্জুল হক ছিলেন দেশবরণ্য হাদীস বিশারদ শ্রেষ্ট তাফসীরবিদ, শীর্ষ আলেমদের অন্যতম। তিনি ১৯৩৮ সালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালি গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মাওলানা নুরুজ্জামান ডাক নাম আব্দুন নুর তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক, রায়ধর মাদ্রাসায় কিছু দিন লেখাপড়ার পর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় চলে যান। ১৯৬০সালে হাটহাজারী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন, উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাকিস্তানের লাহোর গমন করেন। জামিয়া ইসলামীয়া নিউটাউন করাচি থেকে তাখাসসুসের সনদ হাদীস করেন। এরপর চলে যান বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে। ১৯৬২ সালে শায়খুল হাদীস আল্লামা জাকারিয়া ফখরুদ্দীন বালিয়াবী (রাহঃ)এর ফুযুজও বারাকাত গ্রহন করে খুসুসী সনদ লাভ করেন। তাফাজ্জুল হক ১৯৬৩ সালে দেশে ফিরেই জামেয়া সাদিয়া রায়ধরে অবৈতনিক শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে তিনি তার বর্ণাঢ্য কর্ম জীবনের সূচনা করেন। কুমিল্লায় তিন বছর শিক্ষকতার পর ময়মনসিংহ জেলার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস পদে নিযুক্ত হন এবং তারাকান্দায় একটি মসজিদ, ঈদগাহ ও মদীনাতুল উলুম তারাকান্দা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি সেহড়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস নিযুক্ত হন।খলিফায়ে মাদানী হযরত মাওলানা বদরুল আলম শায়েখে রেঙা (রাহঃ) কর্তৃক ১৯৭৯ সালে তিনি খেলাফত প্রাপ্ত হন। স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি জামেয়া ইসলামিয়া -আরাবিয়া উমেদনগর হবিগঞ্জের মহাপরিচালক ও শাইখুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করে আসাবস্হায় মৃত্যুবরণ করেন। তাহার হাতে গড়া লাখ-লাখ হাফেজ, মাওলানা, মুফতি ও অসংখ্য ছাত্র -ছাত্রী রয়েছে। তাহার মৃত্যুতে হবিগঞ্জবাসী তথা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিসকে হারিয়ে শোকে ভাসছে। জানাযার নামাজে এম পি, জেলা প্রশাসক, মেয়র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগন ও সাংবাদিকবৃন্দসহ লাখ -লাখ মুসল্লী অংশগ্রহন করেছেন।