(চিলাহাটি – নীলফামারী) প্রতিনিধি:
অনুকুল আবহাওয়ায় ভাল ফলন আর বাজারে পর্যাপ্ত দাম পাওয়ায় নীলফামারীর কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। সুফল সম্ভাবনায় জেলা কৃষি অফিস স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জেলার ছয় উপজেলায় ফুলকপি চাষে লাভবান হয়েছে কৃষকগণ। কৃষকেরা অন্য বছরের চেয়ে এবার বিঘা প্রতি অনেক লাভ হবে বলে জানান চাষীরা। সার কীটনাশক বীজ সহ যাবতীয় সব খরচ বহন করে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই এক বিঘায় ফুলকপি বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। সদর উপজেলার কৃষক মনোরঞ্জন রায়, মাইকেল রতন রায় বলেন- এবারে কপি চাষ করে আমাদের স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমাদের পরিবারের হালচাল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা অনেক অসহায় হয়ে জীবন যাপন করে থাকি, কিন্তু এবারের কপি চাষে আমরা পরিবর্তন হয়ে সুখে স্বাচ্ছন্দে আছি।
ডোমারের ফুলকপি চাষি সুবল রায় জানান- এক বিঘা (৩০ শতক) জমিতে প্রায় ১ কেজি ওজনের ৪ হাজার কপি ফলেছে। যা বিঘা প্রতি লাভ টিকছে ৭০ হাজার টাকা।
বাজারের মধ্যস্বত্ব ব্যবসায়ীরা বলেন- কৃষকদের বাড়ি থেকে ২০ টাকা কেজি দরে কিনে রোদে শুকিয়ে ঢাকা, সিলেট, রংপুর, চট্রগ্রাম, যশোর, খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় কপি পাটাচ্ছি এতে ভালোই লাভ টিকছে। তবে কৃষকদের কোন লোকসান হচ্ছে না। কৃষকেরা অন্য বছরের চেয়ে এবার অনেক টাকা পাচ্ছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূএে জানা যায়- তারা বলেন আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে তাদের ফলন বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করেছি। কৃষকরা অনেক আনন্দিত। এবারের আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় কপির রোগ নাই বললেই চলে। তাই কৃষকের খরচ অনেক কম হয়েছে। লাভ পেয়ে তারা পরিবর্তন হয়েছে।