চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস সংক্রমণের দি ক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন; এদের মধ্যে ৬৪ জনই একটি প্রমোদতরীর। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন।
সম্প্রতি জার্মানির হামবোল্ট ইউনিভার্সিটি ও রবার্ট কচ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কম্বোডিয়া। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ভিয়েতনামে রয়েছে ১৩ জন, মালয়েশিয়ায় ১৬ জন, সিঙ্গাপুরে ৪০ ও কম্বোডিয়ায় একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরপর রয়েছে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ম্যাকাও, ফিলিপাইন, রাশিয়া, কানাডা, ভারত, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিয়ানমার।
মূলত চীনের সংক্রমিত এলাকা থেকে আকাশপথে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী প্রবেশের হারের সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আকাশপথে ভ্রমণকারীর সংখ্যা দেখে ধারণা করা যায়, কী হারে ভাইরাস অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে রুট যত ব্যস্ত, সেটিতে আক্রান্ত যাত্রী চলাচলের সম্ভাবনা তত বেশি। এই সম্ভাব্য ধারণা ব্যবহার করে আমরা অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতে ‘আপেক্ষিক আগমনি ঝুঁকি’ হিসাব করেছি।
এদিকে, এই প্রতিবেদনকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মডেল মনে করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন এর এক গবেষক। ডির্ক ব্রকম্যান নামে ওই গবেষক সায়েন্স ম্যাগাজিনকে বলেন, এটি সংখ্যাগত পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনও বস্তু নয়। জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকদের কিছু একটা ধারণা করতে হবে, কারণ ভাইরাসটি এখনও অজানা। এ মডেলগুলো সেই ধারণা করতে সাহায্য করতে পারে।
করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার এতে মারা গেছেন আরও ৮৯ জন। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির সংখ্যা। চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮১১ জনের। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছেন একজন করে।
শনিবার চীনে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৫৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। ফলে দেশটির মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। এদিন চীনে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল করোনাভাইরাসের উৎসস্থল উহানে এক মার্কিন ও এক জাপানি নাগরিক মারা গেছেন।
সূত্র: এনডিটিভি, সিএন