কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারের গোরস্থানের পাশের পানি উন্নোয়ন বোর্ডের নদীর সরকারি খাস জমি দখল করে টাকার বিনিময়ে লিজ আকারে বিক্রয় করছে কয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান আনিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।সুত্রে জানা যায়, কয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালী ব্যাক্তি আনিসুর রহমান আনিস কয়া ফুলতলা এলাকায় চিন্হিত একজন ভূমিদস্যু। দাপটের সাথে কয়া ফুলতলা গোরস্থান সংলগ্ন গড়াই নদীর তীর থেকে নদী রক্ষা বাধ কেটে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে। বালি উত্তোলন করার ফলে এলাকার একমাত্র কবরস্থানটি বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়বে বলে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় আনিস বালি উত্তোলন করতে তোপের মুখে পরে।কিন্তু তারপরেও বন্ধ হয়নি ভুমিদস্যু আনিসের ভূমি দখলের ব্যবসা।শুধু ভূমি দখলই নয় এলাকার মধ্যে এমন কোন এহেন কাজ নেই যা তিনি করছেন না।এখন সে কয়া ফুলতলা গোরস্থানের পাশের নদী থেকে চড়পরা এবং পানি উন্নোয়ন বোর্ডের ড্রেজার মেশিন দিয়ে এলাকা রক্ষার জন্য বালি উত্তোলন করে যে বাধ করে দিয়েছে সেই বাধ বর্ষাকালে পানি ভড়াটের পর যখন শুকিয়ে যায় সেখানে বিশাল আকারে চড় পড়ে আর সেই চড়ের জমি দখল করে প্রতি বিঘা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে সাধারন মানুষের কাছে বিক্রয় করছে আনিস।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যাক্তি বলেন,আনিস আগে এলাকার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে চলাফেরা করতো। তারপর যখন যে কোন মারফতে এই এলাকার একটি রাজনৈতিক দলে পদ পায় তখন সে এলাকার মধ্যে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে থাকে।তারপর যখন তার চোখ যায় বালির দিকে তখন সে তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজেকে এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি হিসেবে দাবি করে কাউকে তোয়াক্কা না করে রায়ডাংগা গোরস্থানের সাথে থেকে নদী রক্ষাকারী বাধ কেটে বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করতে থাকে।বালি উত্তোলন করার ফলে যখন গোরস্থানটি বর্ষা মৌসুমে নদীর পানিতে বিলীন হবার মত হুমকির মধ্যে পরে তখন এলাকাবাসীর প্রতিবাদে বালি উত্তোলন করতে তোপের মুখে পরে আনিস। এখন নদীর চর বিক্রয় করছে আনিস ।প্রতি বিঘা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এলাকার সাধারন মানুষের কাছে বিক্রয় করছে। আনিসের কাছ থেকে জমি কিনেছে রায়ডাংগা গ্রামের বুদ্দিনের ছেলে রিদয়,রায়ডাংগা গ্রামের রেজাউলের ছেলে মিজান,রায়ডাংগা গ্রামের আক্কাচের ছেলে সোহেল, ও লকাইয়ের স্ত্রী সীতা রানী সহ আরও অনেকের কাছে প্রায় অর্ধশত বিঘা জমি। এ বিষয় নিয়ে আনিসুর রহমান আনিসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমার রাজনৈতিক দলের ছেলেদের চালাতে একটু আকটু এসব হয়েই থাকে। আমিতো ৬-৭ বিঘা সরকারি খাস জমি বিক্রয় করেছি আর অন্যরা যে শত শত বিঘা বিক্রয় করছে তাদের কিছু হচ্ছেনা, আপনি আপনার বিকাশ নাম্বার দেন আপনার খরচ পাঠিয়ে দিচ্ছি তাই বলে তিনি মোবাইল ফোনটি কেটে দেন। তাৎক্ষনিক একটি মোবাইল ফোন থেকে ফোন দিয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার পরিচয় দিয়ে খালেক নামের একজন প্রতিবেদককে বলেন,আনিসের সাথে সমঝোতা করে নেন আপনার বিকাশ নাম্বার দেন পরবর্তীতে আপনার যে কোন সমস্যা আমরা দেখবো। দল চালাইতে হলে এগুলো করতে হয়।
Home » দৈনিক সকালবেলা » বিভাগীয় সংবাদ » দেশগ্রাম » যুবলীগের পরিচয় দিয়ে চলছে কয়া ইউনিয়নের ভূমিদস্যু আনিসের সরকারি খাস জমি বিক্রয়ের মহোৎসব