কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়নের বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২০শে ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে ৩৭.১০.৫০০০.০০০.০৬.২০-১১০১ স্মারকে দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুলের এডহক কমিটিতে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনয়ন দানসহ এডহক কমিটি অনুমোদন দিয়ে পত্র প্রদান করেন। সেই পত্রে উল্লেখ করেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর এর স্মারক নং-বিঅ-৬/৫২৭৯/৩৬৬(৪), তারিখঃ ১৬/০২/২০২০। এই সূত্রের আলোকে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুলের এডহক কমিটিতে প্রবিধান মালা ২০০৯ এর ৩৯(১)(গ)(অ) উপধারা মোতাবেক প্রস্তাবিত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দাখিলকৃত তালিকা হতে ক্রমিক নং ১) মামুনর রশিদ সহকারী শিক্ষক কে মনোনয়ন প্রদান করা হয়।
এই পত্র কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জায়েদুর রহমান স্বাক্ষরিত। পত্র পেয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম আযম সহকারী শিক্ষক মামুনর রশিদ এর নামের জায়গায় কাগজে সহকারী শিক্ষক মতিয়ার রহমান এর নাম বসিয়ে ফটোকপি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর প্রেরণ করে।
সহকারী শিক্ষক মামুনর রশিদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই পত্রের একটি কপি আমাকে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাকে আমার কপি না দিয়ে সরিয়ে ফেলে। এই বিষয়ে আমি আজ(বুধবার) জানতে পারি। প্রধান শিক্ষক রিতিমত প্রতারণা করেছেন। এর ফলে আমাদের বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
এদিকে দি ওল্ড কুষ্টিয়া হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক গোলাম আযমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। এই বিষয়টি আজকে ধরা পরেছে। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রিন্ট দেয়ার পর দেখি তিনি আমার মনোনীত প্রার্থী নাম বাদ দিয়ে তার মনোনীত প্রার্থীর নাম বসিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের নিজস্ব যে পদক্ষেপ নেয়ার মতো ব্যবস্থা রয়েছে সেই ব্যবস্থা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেয়া হবে।