নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বন অধিদফতর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ৫ জুন ৪৯২টি উপজেলায় এ চারা বিতরণ করবে তারা। প্রতিটি উপজেলায় ২০ হাজার ৩৩৫টি করে চারা বিতরণ করা হবে।
বন অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রত্যেকটি উপজেলায় এক কোটি গাছের চারা রোপণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে চারা উৎপাদনের জন্য বন বিভাগের সারাদেশের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে এক কোটি চারার মধ্যে কিছু চারা নষ্ট হতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত আরও ২০ লাখ গাছের চারা উৎপাদন করা হবে। সারাদেশের বন বিভাগ চারা উৎপাদনের কাজও শুরু করেছে।
দেশীয় প্রজাতির বিশেষ করে বনজ, ফলজ,ওষধি ও শোভা বর্ধনকারী গাছকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে। তবে ইউকেলিপটাস, আকাশমনি আর রেইনট্রি বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব চারার মধ্যে ৫০ শতাংশই হবে ফলজ প্রজাতির। ফলজ গাছের মধ্যে আম, জাম, কাঠাল, তেঁতুল, লিচু, পেয়ারা, জামরুল, করমচাসহ বড় গাছের চারাই বেশি প্রাধান্য পাবে। অন্যদিকে শোভা বর্ধনকারী গাছের মধ্যে ফুলের গাছ থাকবে, তাতে রাখা হতে পারে গোলাপ, জবা, ঝুমকো লতা, অপরাজিতা, মাধবীলতা, বেলি, রঙ্গন ও কাঠগোলাপ। এর পাশাপাশি রাখা হয়েছে পাতাবাহার জাতীয় গাছও। এর মধ্যে থাকতে পারে বাগান বিলাসসহ বেশ কিছু গাছ। ওষধি গাছের মধ্যে শতমূলী, নিশিন্দা, নাগমনি, ফণিমনসা, চন্দন, অর্জুন, ঘৃতকুমারি, রক্তচন্দন, নাগেশ্বরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির গাছ থাকছে।
এ বিষয়ে সহকারী বন সংরক্ষক অজিত কুমার সকালবেলা’কে জানান, ফলের চারা হবে ৫০ থেকে ৬০ ভাগের মতো। এসব চারা বসতবাড়ির আশেপাশে রোপণ করা হবে। বাকিগুলো হবে বনজ, ওষধি ও শোভাবর্ধনকারী গাছ। কোনও বিদেশি গাছ রোপণ করা হবে না। তিনি বলেন, আমরা শুধু বিতরণ করবো চারাগুলো। চারাগুলো কাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, কোথায় রোপণ করা হবে, এসব নির্ধারণ করবেন উপজেলা পরিবেশ ও বন উন্নয়ন কমিটি।
জানা যায়, আগামী বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাছের চারা রোপণ করার মধ্য দিয়ে এই এক কোটি চারা বিতরণের উদ্বোধন করবেন। এরপর সব উপজেলায় চারা বিতরণ এবং রোপণের কাজ শুরু করা হবে।