অনলাইন ডেস্কঃ
রংপুরে গত তিন মাসেও প্রণোদনার সার পায়নি পাট চাষিরা। অথচ আর কয়েক দিন পরই চাষিদের ঘরে উঠবে চাষকৃত পাট। এ দুঃসময়ে জেলার সাত উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার পাট চাষি সময়মত সার না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। সার নিয়ে এই লুকোচুরি খেলায় কৃষকরা জেলা পাট কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ি করছেন। অপরদিকে পাট কর্মকর্তা বলছেন, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটি সময়মত সহয়োগিতা না করায় এমনটা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন, বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করা হবে।
জেলা পাট অফিস ও পাট চাষি সমিতি সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার আট উপজেলার মধ্যে সাতটিতে ১৪ হাজার ৮০০ পাট চাষির জন্য গত ২২ মার্চ ৩৪ লাখ চার হাজার টাকা প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ আসে। তালিকাসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের প্রণোদনার সার প্রদান থেকে বাদ দেওয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে পাট অফিস সার ক্রয় করে প্রতি কৃষককে ছয় কেজি ইউরিয়া, টিএসপি তিন কেজি এবং এমওপি সার তিন কেজি করে দেওয়ার কথা। করোনার এই দুঃসময়ে দীর্ঘ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রণোদনার ওই সার চাষিরা এখনো পায়নি। তাদের অভিযোগ, পাট চাষি সমিতির লোকজন বারবার পাট কর্মকর্তার কাছে ধর্ণা দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নানান অজুহাতে সময় ক্ষেপন করছেন।
চাষিরা জানান, বর্তমানে পাট গাছের বয়স দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। সার প্রয়োগ করতে হয় বপনের পরপরই। আগামী এক মাসের মধ্যে পাট কাটা শুরু হবে। এ অবস্থায় পাট ক্ষেতে সার প্রয়োগ করা যাবে না। প্রণোদনার সার পেলে ওই সার অন্য ফসলে দেওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
রংপুর সদরের গঞ্জিপুর এলাকার পাট চাষি আলীমুদ্দিন, আখেরুজ্জামান, বেলাল হোসেনসহ অনেকেরই অভিযোগ, যখন জমিতে সার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তখনই সার পাওয়া যায়নি। কবে নাগাদ সার পাওয়া যাবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
জোনাল পাট চাষি সমিতির সভাপতি ওহাব মিয়া বলেন, সারের জন্য কয়েকবার জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শুধু অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করছেন। চাষিরা সময় মত সার না পেয়ে ইতিমধ্যে বাজার থেকে সার কিনে জমিতে দিয়েছে।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বিশ্বাস বলেন, করোনার কারণে বরাদ্দের টাকা দিয়ে সার ক্রয় করতে একটু দেরি হয়েছে। কোটেশনের মাধ্যমে সার ক্রয় করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটির সাথে সমন্বয় করে খুব দ্রুত চাষিদের মাঝে সার বিতরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
রংপুরে গত তিন মাসেও প্রণোদনার সার পায়নি পাট চাষিরা। অথচ আর কয়েক দিন পরই চাষিদের ঘরে উঠবে চাষকৃত পাট। এ দুঃসময়ে জেলার সাত উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার পাট চাষি সময়মত সার না পেয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। সার নিয়ে এই লুকোচুরি খেলায় কৃষকরা জেলা পাট কর্মকর্তার গাফিলতিকে দায়ি করছেন। অপরদিকে পাট কর্মকর্তা বলছেন, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটি সময়মত সহয়োগিতা না করায় এমনটা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক বলেছেন, বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করা হবে।
জেলা পাট অফিস ও পাট চাষি সমিতি সূত্রে জানা যায়, রংপুর জেলার আট উপজেলার মধ্যে সাতটিতে ১৪ হাজার ৮০০ পাট চাষির জন্য গত ২২ মার্চ ৩৪ লাখ চার হাজার টাকা প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ আসে। তালিকাসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে তারাগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের প্রণোদনার সার প্রদান থেকে বাদ দেওয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে পাট অফিস সার ক্রয় করে প্রতি কৃষককে ছয় কেজি ইউরিয়া, টিএসপি তিন কেজি এবং এমওপি সার তিন কেজি করে দেওয়ার কথা। করোনার এই দুঃসময়ে দীর্ঘ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও প্রণোদনার ওই সার চাষিরা এখনো পায়নি। তাদের অভিযোগ, পাট চাষি সমিতির লোকজন বারবার পাট কর্মকর্তার কাছে ধর্ণা দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নানান অজুহাতে সময় ক্ষেপন করছেন।
চাষিরা জানান, বর্তমানে পাট গাছের বয়স দেড় মাস পেরিয়ে গেছে। সার প্রয়োগ করতে হয় বপনের পরপরই। আগামী এক মাসের মধ্যে পাট কাটা শুরু হবে। এ অবস্থায় পাট ক্ষেতে সার প্রয়োগ করা যাবে না। প্রণোদনার সার পেলে ওই সার অন্য ফসলে দেওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
রংপুর সদরের গঞ্জিপুর এলাকার পাট চাষি আলীমুদ্দিন, আখেরুজ্জামান, বেলাল হোসেনসহ অনেকেরই অভিযোগ, যখন জমিতে সার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল তখনই সার পাওয়া যায়নি। কবে নাগাদ সার পাওয়া যাবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
জোনাল পাট চাষি সমিতির সভাপতি ওহাব মিয়া বলেন, সারের জন্য কয়েকবার জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা শুধু অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করছেন। চাষিরা সময় মত সার না পেয়ে ইতিমধ্যে বাজার থেকে সার কিনে জমিতে দিয়েছে।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বিশ্বাস বলেন, করোনার কারণে বরাদ্দের টাকা দিয়ে সার ক্রয় করতে একটু দেরি হয়েছে। কোটেশনের মাধ্যমে সার ক্রয় করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটির সাথে সমন্বয় করে খুব দ্রুত চাষিদের মাঝে সার বিতরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।