স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের কিছু অসাধারণ জয়ে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিয়েছেন ম্যাচ ফিক্সিং করে নিন্দিত হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এক অর্থে শেষ হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘুরে ফিরে আসে আশরাফুলের নাম। আজ থেকে ঠিক ১৫ বছর আগে ২০০৫ সালের ১৮ জুন অস্ট্রেলিয়ার কার্ডিফে এক ইতিহাস রচিত হয়েছিল। ভয়ংকর অস্ট্রেলিয়া নত হয়েছিল হাবিবুল বাশার বাহিনীর সামনে। সেই ইতিহাস গড়ার নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের সেই ম্যাচে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তখনকার রিকি পন্টিংয়ের ভয়ংকর অস্ট্রেলিয়ার ড্যামিয়েন মার্টিন (৭৭) ও মাইকেল ক্লার্ক (৫৪) ছাড়া কেউ বড় রান করতে পারেনি। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া থামে ৫ উইকেটে ২৪৯ রানে। পেসার তাপস বৈশ্য নেন ৩ উইকেটে।
২৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারালেও চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ও আশরাফুলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১৩০ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের ঐতিহাসিক জয়ের স্বপ্নটাকে আরও রঙিন করে তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। বাশার ৪৭ রানে আউট হলেও আশরাফুল তুলে নেন সেঞ্চুরি।
ঠিক ১০০ রান করে দলের জয় থেকে ২৩ রান দূরে থাকতে আউট হন আশরাফুল। এরপর আফতাব আহমেদের ১৩ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় টাইগাররা। গ্লেন ম্যাকগ্রা, জেসন গিলেস্পির ভয়ংকর পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে তারা চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠেছিল আশরাফুলের হাতে। শেষ ওভারের প্রথম বলে গিলেস্পিকে আফতাব আহমেদের ছক্কা আর পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে বিজয়ের আনন্দে ভাসা- বাংলাদেশের ক্রিকেটর অন্যতম সেরা দৃশ্য।