অনলাইন ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের ১৯টি এলাকাকে করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ (রেড জোন) চিহ্নিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে এসব এলাকা এখনো লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করার পর এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এসব এলাকায় পরবর্তী করণীয় জানতে করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটির কাছে সুপারিশের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রেড জোনের এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটির ৭টি ওয়ার্ড, সদরের ২টি, বন্দরের ১টি, সোনারগাঁয়ের ২টি, আড়াইহাজারের ৩টি ও রূপগঞ্জের ৪টি এলাকা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৮, ১২, ১৩, ১৮, ও ২৪ নং ওয়ার্ড রোড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, কোনটিরই সম্পূর্ণ ওয়ার্ড নয়।
নারায়ণগঞ্জ সদরের গোগনগর ৩নং ওয়ার্ড, এনায়েতনগর ৩নং ওয়ার্ড। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ৩নং ওয়ার্ড। সোনারগাঁ উপজেলার আমিনপুর ৩নং ওয়ার্ড, মুগড়াপাড়ার ১নং ওয়ার্ড। আড়াইহাজার উপজেলার আড়াইহাজার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, হাইজাদীর ৩নং ওয়ার্ড, ভ্রাম্মন্দির ৩নং ওয়ার্ড। রূপগঞ্জের তারাব ২নং ও ৩নং ওয়ার্ড, কাঞ্চনের ২নং ওয়ার্ড ও ভুলতার ৩নং ওয়ার্ড রয়েছে এ তালিকায়।
এ ব্যাপারে করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, জেলার কিছু এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এসব এলাকা এখনো লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। অনুমোদন পেলে জানানো হবে কোন জায়গা থেকে কোন পর্যন্ত লকডাউন হবে।