জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে খ্যাত নওগাঁর চাতাল মালিক ও আড়তদারদের সিন্ডিকেটে ঘন্টায় ঘন্টায় কমছে ধানের দাম। কৃষকদের অভিযোগ এতে করে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে কৃষি বিপনন বিভাগ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুম পাড়ছেন বলেও নিশ্চিত এমনই অভিযোগ সমালোচকদের। দেশের প্রতিটি পণ্যের দাম লাগামহীন হলেও ধানের দামে এমন সিন্ডিকেটের রহস্য খুজে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তাবাবুরা বলে দাবি তাদের। কিন্তু এমন আজব কথা মানতে নারাজ কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। ফলে আগামী রোপা আমন চাষ নিয়ে চরম শংকিত কৃষকরা। মাতাজি হাটের ধান বিক্রেতা আবু রাইহান জানান, ৩০ মন জিরাসাইল ধান বিক্রি করতে এসে বাজার দর হিসাবে প্রতিমন ১০০০টাকা দাম করে এবং বাঁকিতে বিক্রি করলে ১১০০ টাকা দাম করে ব্যবসায়ীরা। বেকায়দায় পড়ে অনেক কৃষক বাকিতে ধান বিক্রি করে বাড়ি ফিরছেন। এভাবেই চলছে বড় চাষীদের উপর মৌল নির্যাতন। অপরদিকে ধানের দাম কম হলেও চালের বাজার চড়া। জিরাশাইল ৫০ কেজি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা। মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। কেন ধানের দাম কম আর চালের দাম বেশি এর কারন জানতে চাইলে অনেকেই জানান, আড়তদার ও মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম প্রতি ঘন্টায় কমেছে এবং চালের দাম আগের কেজিতেই বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে কৃষকদের বাড়তি ঋনের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। সমালোকদের দাবি, দ্রুত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে কৃষকেরা যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে এবং ধান চাষ করে তারা যেন লাভবান হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে দাবি কৃষকদের।