Thursday , 25 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
জাপানের সঙ্গে ১১,৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

জাপানের সঙ্গে ১১,৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীকে যানজটমুক্ত রাখতে মেট্রো রেল লাইন-৫ প্রকল্পের আওতায় ১৩.৫০ কিলোমিটার পাতাল মেট্রো রেল এবং ৬.৫০ কিলোমিটার উড়াল মেট্রো রেল নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় মোট ব্যয় হবে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এবার জাপানের সঙ্গে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে চলমান মেট্রো রেল নির্মাণ প্রকল্পে বিনিময় নোট ঋণচুক্তি সই হয়।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকির মধ্যে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া নিজ দেশের পক্ষে এ ঋণচুক্তিতে সই করেন।

ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫) নর্দার্ন রুট প্রকল্পের পরিচালক মো. আফতাব হোসেন খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রো রেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ১৩.৫০ কিলোমিটার হবে পাতালরেল। ভার্চুয়ালি এ ঋণচুক্তি সই অনুষ্ঠান  সম্পন্ন হয়।

নতুন এই মেট্রো রেলের অ্যালাইনমেন্ট হলো: হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর-মধুমতী-আমিনবাজার-গাবতলী-দারুসসালাম-মিরপুর ১-মিরপুর ১০-মিরপুর ১৪-কচুক্ষেত-বনানী-গুলশান ২-নতুনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৩০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে।

গত বছরের ১৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ২০২৬ সালে পাতালরেলে যাত্রী পরিবহন শুরুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১২টি প্যাকেজের আওতায় এমআরটি-১ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম পাতাল রেলপথের নির্মাণকাজ করা হবে। প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এই রেললাইনের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে। ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে, যার দৈর্ঘ্য ১৯.৮৭ কিলোমিটার। আর কমলাপুর থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১.৩৬ কিলোমিটার।

সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply