দুশ্চিন্তার কারণে শরীরে কর্টিসোল ও অ্যাড্রেনালিন নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললে হৃদরোগ, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। কর্টিসোল রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে শরীর সহজেই সংক্রমণে আক্রান্ত হয় এবং সেরে উঠতেও বেশি সময় লাগে।পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি
উদ্বেগের প্রভাব পড়ে হজমের উপরও। দেখা দিতে পারে পেটে ব্যথা, অ্যাসিডিটি, বদহজম, বুকজ্বালা বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো উপসর্গ।
চিরস্থায়ী মানসিক চাপ স্নায়ুতন্ত্রকে অতিরিক্তভাবে সক্রিয় করে তোলে। এতে ঘন ঘন মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, মনোযোগে ঘাটতি ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, অনিদ্রা তৈরি হয়, যা বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা বাড়ায়।পেশী, ত্বক ও অন্যান্য দিকেও প্রভাব
চাপের কারণে পেশিগুলো টান টান হয়ে থাকে, যার ফলে ঘাড়, কাঁধ ও পিঠে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা হতে পারে।
পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দিতে পারে বিভিন্ন সমস্যা।সব মিলিয়ে বলা যায়, দুশ্চিন্তা কেবল মনকে নয়, ধীরে ধীরে শরীরকেও ভেঙে দেয়। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সঠিক ঘুম, পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি।