এনহেদুয়ানা ছিলেন প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার তথা বিশ্বের প্রথম লেখিকা। যিনি খ্রিস্টপূর্ব ২৩০০ শতকে উর শহরের চন্দ্রদেবতা নান্নার মন্দিরের মহাযাজিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ছিলেন আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সার্গন দ্য গ্রেটের কন্যা। এনহেদুয়ানার নামের অর্থ স্বর্গের অলংকার।
তিনি কিউনিফর্ম লিপিতে ৪২টি মন্দির স্তোত্র ও তিনটি মহাকাব্য রচনা করেন। যার মধ্যে দেবী ইনানার মহিমা অন্যতম। এই রচনাগুলোর মধ্যে এনহেদুয়ানা প্রথম ব্যক্তি হিসেবে নিজের নাম উল্লেখ করেন, যা তাকে বিশ্বের প্রথম পরিচিত লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এনহেদুয়ানার রচনাগুলোতে মেসোপটেমীয় দেবতাদের মানবিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, যা তার সাহিত্যকর্মকে বিশেষ করে তোলে।
তার লেখা কবিতাগুলোতে প্রেম, যুদ্ধ, উর্বরতা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে গভীর অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে। ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার লিওনার্ড উলের নেতৃত্বে উর শহরের খননকাজে এনহেদুয়ানার নাম খোদিত একটি চাকতি আবিষ্কৃত হয়, যা তার অস্তিত্বের প্রমাণ দেয়। এই আবিষ্কার তার সাহিত্যকর্মের পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এনহেদুয়ানার সাহিত্যকর্ম প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
তার রচনাগুলো আধুনিক সাহিত্য ও ইতিহাসের গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।সূত্র : রোর বাংলা