বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জুলাই আন্দোলন নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, জুলাই আন্দোলনে জড়িত হলে তারা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের ক্ষমতা হারাতে পারে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে ভলকার তুর্ক বলেন, সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি— যদি তারা এতে জড়ায়, এর অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়তো আর শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম। ফলস্বরূপ, আমরা পরিবর্তন দেখতে পেয়েছি।ভলকার তুর্ক বলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে আপনি জানেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।
তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি। তখন ব্যাপক দমন-পীড়ন চলছিল।তিনি আরো বলেন, যখন মুহাম্মদ ইউনূস অন্তবর্তী সরকারের নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমার কাছে জানতে চান, আমি তাদের জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠাতে পারব কি না, যেন পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা যায় এবং যা ঘটেছিল তা তদন্ত করা হয়। আমরা সেসব করছিলাম, এটি প্রকৃতপক্ষেই সাহায্য করেছিল।
বিবিসির ২২ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের হার্ডটক অনুষ্ঠানটি বুধবার (৫ মার্চ) প্রচারিত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, গত নভেম্বরে যখন তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন, তখন তাকে তার ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের অবস্থান নেওয়া, কথা বলা এবং তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ ছিল।
হার্ডটক অনুষ্ঠানে তুর্ক বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংঘর্ষ এবং কোটি কোটি মানুষের জীবনে এসবের বিধ্বংসী প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, যদি এসব সংকটের সমাধান না করা হয়, তাহলে মানবতা দুঃস্বপ্নময় এক ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হতে পারে।