১৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৭। প্রথম আলোর সাপ্তাহিক আয়োজন ‘আলপিনে’ আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে কার্টুন আঁকা হয়। ইসলাম বিদ্বেষ এবং নাস্তিক্যবাদ প্রচারই যে পত্রিকাটির উদ্দেশ্য তারা এ ধরনের কার্টুন ছেপেছিল ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য, পবিত্র ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করতে। পবিত্র ইসলাম বিদ্বেষ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের একটি মজ্জাগত চরিত্র।
কেন প্রথম আলো ক্ষমা চাইছে না বা এখনো কেন প্রথম আলো ক্ষমা চাইতে রাজি না। প্রথম আলোর পেছনে শক্তিই-বা কী? এটি খুঁজতে গেলে দেখা যাবে বর্তমানে যে উপদেষ্টামণ্ডলী রয়েছে, তার অধিকাংশই প্রথম আলোর নিয়ন্ত্রিত এবং প্রথম আলো একান্ত অনুগত। এই উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তত আট জন সদস্য আছেন, যারা প্রথম আলোর নিয়মিত লেখক, যাদের একমাত্র পরিচয় হলো প্রথম আলোতে কলাম লেখা। এখন উপদেষ্টা পরিষদে গিয়ে তারা কেউ কেউ প্রথম আলোর এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। এসব উপদেষ্টা থাকার কারণেই প্রথম আলো এত সাহস পাচ্ছে। এদের জন্যই পত্রিকাটি ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং মিথ্যাচার অব্যাহত রেখেছে।
এই উপদেষ্টামণ্ডলীর কারণেই বর্তমান সরকার ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। প্রথম আলোর মতো ভারতীয় এজেন্ট এবং ভারতীয় সেবাদাস একটি অপসাংবাদিকতার মুখপত্র লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই ঘটনায় শুধু প্রথম আলোর ওপরেই যে ক্ষুব্ধ হচ্ছেন, তা নয়, এতে সরকারের ওপরও তারা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে যে নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে এবং তারা যে সুপারিশ দিয়েছে, সেই সুপারিশেও পবিত্র ইসলাম ধর্মকে আঘাত করা হয়েছে। আর এই সুপারিশ প্রণয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রথম আলো। শনিবার এই বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবিতে স্মরণকালের বৃহত্তম সভা করেছে হেফাজতে ইসলাম। আশা করা যায়, হেফাজতের এই সতর্ক বার্তা সরকার গ্রহণ করবে। দ্রুত ইসলামবিরোধী নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল করবে। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের মতো নাস্তিকতা প্রচারক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মনে রাখতে হবে, এক-এগারোর অসমাপ্ত মিশন বাস্তবায়নের কাজে এখন প্রথম আলো ব্যস্ত। এ জন্যই তারা রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করছে। ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করছে এবং বিরাজনীতিকরণ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মনে করেন, দ্রুত এদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।