সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আজ ছড়িয়ে পড়বে মাকে নিয়ে আবেগভরা কথামালা, স্মৃতিময় নানা ছবি, আবেগ জগানো দুটি পঙক্তি, অনুভূতির নিভৃত কোণে নাড়া দেওয়া কোনো ভিডিও।
প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারটি এভাবেই আসে। বিশ্বজুড়ে মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, ছন্দোময় শৈশব-কৈশোর—এসবের পেছনে মায়ের অবদান অপরিসীম।
তাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশেও কুণ্ঠা নেই কারো। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ লাগে না। হৃদয়ের গভীর থেকে প্রতি মুহূর্তে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আসে মানুষের। এর পরও সারা বিশ্বে আজকের দিনটি শুধুই মায়ের জন্য নিবেদিত।
আজকের দিনটিকে বলা যায় মা-ময় রবিবার। মায়ের জন্য মায়াভরা দিন। বিশ্বজুড়ে দিনটি পালিত হয় মা দিবস হিসেবে। মা মানে অসীম ভালোবাসা।
অনেকে এদিন মায়ের জন্য নানা রকম উপহার কেনেন। কেউ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেক কাটেন।
বিবিসি বলছে, আধুনিককালের এই মা দিবসের ধারণাটা আসে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার বাসিন্দা আনা জারভিসের মাথা থেকে। তাঁর মা অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ছিলেন একজন শান্তিবাদী সমাজকর্মী। ১৯০৫ সালে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করেন।
পৃথিবীর সব মাকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস প্রচলনের চেষ্টা করেন। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় মায়ের স্মরণে একটি অনুষ্ঠান করেন আনা। সে বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। অদম্য আনা তাঁর চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে।
অবশেষে ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।