Friday , 29 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন
--সংগৃহীত ছবি

দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন

অনলাইন ডেস্ক:

দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে বঙ্গভবন। এ লক্ষ্যে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনে সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার ও তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধনকালে এ কথা জানান।

বঙ্গভবনের তোষাখানা জাদুঘরকে শতাব্দীকালের বর্ণাঢ্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গভবনের সমৃদ্ধ ইতিহাস সংরক্ষণ এবং তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ আগন্তুকরা পরিদর্শনকালে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে সক্ষম হবেন। বঙ্গভবনের অনেক স্থাপনা দেখে মোটামুটিভাবে তারাও আকৃষ্ট হবেন এবং আমাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব অনেক উঁচু হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বঙ্গভবনকে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই তোষাখানা ও এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের আধুনিকায়ন এবং ওয়াকওয়ে নির্মানসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নবনির্মিত তোষাখানা জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি তোষাখানা জাদুঘরের বিভিন্ন কক্ষের স্থাপনাসমূহ ঘুরে দেখেন।

তোষাখানায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সামগ্রী এবং ঐতিহাসিক ছবি সংরক্ষিত রয়েছে। দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত থাকবে। আবার বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যে কেউ তোষাখানাটি যাতে পরিদর্শন করতে পারে এবং বঙ্গভবন সম্পর্কে জানতে পারে সে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, রাষ্ট্রপ্রধান সংস্কারকৃত এয়ার রেইড শেল্টার হাউজের উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন।
১৯৬৫ সালে নির্মিত হলেও পরিত্যক্ত এ শেল্টারটিকে বঙ্গভবনে আগত দর্শনার্থীদের জন্য ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এয়ার রেইড শেল্টার হাউজকে সেই আগের আদলেই সংস্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া আধুনিক ল্যান্ডস্কেপে সাজানো বঙ্গভবনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সবুজ উদ্যান, দুম্বা শেড, হরিণ পার্ক, দৃষ্টিনন্দন চারটি পুকুর ও একটি সুইমিং পুলসহ নানা দর্শনীয় স্থান।

রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সংস্কৃতির বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রেজওয়ান আহাম্মাদ তৌফিক, এমপি এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply