মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কিছু দেশ আমাদের মানবতা ও মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল মানবতা? তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যায়িত করে বলেন, তার সময় গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয়। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকেও ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে মায়ের কান্না সংগঠনের উদ্যোগে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকারী জিয়ার গুম-খুন ও খালেদা জিয়ার অগ্নি সন্ত্রাসে ভুলষ্ঠিত মানবাধিকার’ শীর্ষক এ আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদষ্টো নাহিদ এজাহার খান।
সভায় মন্ত্রী ট্রুথ কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর গর্বিত সৈনিকদের হত্যাকারীদের মরণোত্তর বিচারের দাবি করেন এবং গুম ও খুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া গুম, খুন ও অগ্নিসন্ত্রাসকারী দল যাতে আগামীতে আর কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশে পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা এ আলোচনা সভায় উপিস্থত ছিলেন।
আলোচনা শুরুর আগে ‘গণদাবি-৭৭’ এবং ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামের দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। সভায় বক্তারা ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে তাদের লাশ গুম করেন বলে অভিযোগ করেন এবং সেসময় অন্যায় ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।