অনলাইন ডেস্ক:
আমি নৌকায় ভোট দিয়েছি, যেন নৌকা জয়যুক্ত হয়―সাংবাদিকরা শামীম ওসমানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন কী মার্কায় ভোট দিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি সারা জীবন মার্কা দেখে আসছি, সারা জীবন আমার একটাই মার্কা।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমান ভোট দেবেন কি না এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল সংশয়। সেই সংশয় দূর করলেন শেষ বেলায়, মানে শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রে এসে। শামীম ওসমান দুপুর সাড়ে ৩টায় নারায়ণগঞ্জের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
ভোট দেওয়ার সময় টেলিভিশন ও বিভিন্ন মাধ্যমের শত ক্যামেরা ঘিরে ধরে তাঁকে। একটা সময় ধীরগতিতে এগোতে হচ্ছিল শামীম ওসমানকে, কেননা ক্যামেরা ঘিরেই রেখেছিল তাঁকে। কেন্দ্রের মধ্যে ক্যামেরা ঢুকে পড়ে। আঙুল ম্যাচ করার পূর্ব পর্যন্ত টেলিভিশন, মোবাইল ও বিভিন্ন মাধ্যমের প্রায় ১০০ ক্যামেরা ঘিরে রাখে।
আঙুল ম্যাচ করার পর ক্যামেরাম্যানদের সরে যেতে বলা হয়। একটি কাপড় ঘেরা ঘরে শামীম ওসমান একা ভোট দেন। ভোট দিয়ে তিনি যখন বেরিয়ে আসেন তখন ঘড়িতে বাজে ৩টা ৪২।
সকাল থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কখন আসবেন শামীম ওসমান। অবশেষে তিনি এলেন আর ভোট দিলেন।
এরই মধ্যে শেষ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। শুরু হচ্ছে ভোট গণনা। সকাল ৮ টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের নাসিক নির্বাচন। সকালে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ চললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে ভোটারদের উপস্থিতি।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন