অনলাইন ডেস্ক:
১২ মার্চ, ১৯৭১। পূর্ব পাকিস্তানজুড়ে চলছে লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন। সরকারের আদেশ অমান্য করে আন্দোলনের নির্দেশনা অনুুসরণ করে চলেছেন পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানগুলোতে উড়ছে বাংলার মানচিত্রখচিত লাল-হলুদ-সবুজ পতাকা। সঙ্গে উড়ছে প্রতিবাদের কালো পতাকাও। শুধু পূর্ব পাকিস্তান নয়, বহির্বিশ্বেও অসহযোগ আন্দোলন ব্যাপক প্রচার পায়।
সেদিনের একটি চিত্র পাওয়া যায় কবি সুফিয়া কামালের দিনলিপি থেকে। ‘একাত্তরের ডায়েরী’তে তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকার অবস্থা স্বাভাবিক। মিছিল চলছে সারা দিন-রাত। কিন্তু এই স্বাভাবিকতাই এখন অস্বাভাবিক লাগছে। ঝড়ের আগের স্তব্ধতা নয়তো। টিক্কা খান এত অবহেলা লাঞ্ছনা অপমান নির্বিকারে সহ্য করে যাচ্ছে, আশ্চর্যত!’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা আন্দোলনের লক্ষ্যে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার কথা স্মরণ করে প্রদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সংগ্রাম কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। সুফিয়া কামালের সভাপতিত্বে মহিলা পরিষদের এক সভায়ও পাড়ায় পাড়ায় মহিলা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
এ দিনে রাস্তায় নেমে আসেন শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কর্মজীবী সবাই। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। পূর্ব পাকিস্তানের সাংবাদিক ইউনিয়ন আন্দোলনকে জোরদার করতে, আরো সংঘবদ্ধ করতে রাজপথে নেমে আসে।
লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, শক্তি প্রয়োগ নিষ্ফল ও বিপজ্জনক হবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বল প্রয়োগ করতে ইচ্ছুক।