Monday , 6 May 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ৬ কেজি ওজনের শিশুর জন্ম!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌনে ৬ কেজি ওজনের এক শিশুর জন্ম হয়েছে। স্থানীয় হলি ল্যাব হাসপাতালে জন্ম নেওয়া ওই শিশুর নাম রাখা হয়েছে মুয়াজ। এই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উল্লাসের কারণ হলো জন্মের সময় ওই শিশুর ওজন ছিল প্রায় পৌনে ৬ কেজি। শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার শিশুর জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জন্ম নেয়া মুয়াজ সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের মাস্টার বাড়ির ও অরুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বাশারের চতুর্থ সন্তান। চিকিৎসক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথম এক মা প্রায় পৌনে ৬ কেজি ওজনের এক ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন। ওই নারীর নাম তাসলিমা বেগম। প্রায় ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজন ও ৫৫ সেন্টিমিটার লম্বা নিজের শিশুকে দেখে অবাকই হয়েছেন তিন সন্তানের মা তাসলিমা বেগম। স্বাভাবিক শিশুর চেয়ে মুয়াজের আকার প্রায় দ্বিগুণ। নিজের শিশুর এমন ওজন নিয়ে জন্ম হওয়ায় কিছুটা অবাক হয়ে বাবা আবু বাশার বলেন, আমি চেয়েছিলাম আমার একটি ছোট মোটা শিশু হবে। আমার আগের শিশুগুলো নরমাল ডেলিভারি হয় এবং ওই শিশু গুলোর স্বাস্থ্যও ভাল ছিল। তিনি বলেন, নিরাপদে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ায় খুবই খুশি। আমার পরিবার ‘ধন্য’ হয়েছে। ফৌজিয়া ম্যাডামের সহযোগিতায় সিজারের পর মা ও শিশু ভাল আছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিন সন্তানের জননী তাসলিমা বেগম বলেন, আমি আজকের দিনটির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করেছি। আমি ও আমার ছেলে শিশুটি সুস্থ আছেন।

গর্ভাবস্থায় তাসলিমার সন্তানের ৪০ সপ্তাহে ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজন ছিল। ৪০ সপ্তাহ ৩ দিন পরে জন্ম হয় মুয়াজের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কুমারশীল মোড় হলি ল্যাব হাসপাতালে মুয়াজ সিজার বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্ম হয়েছে।

গাইনী কনসালটেন্ট ডা. ফৌজিয়া আখতার বলেন, সিজারের মাধ্যমে ছেলে শিশুটি জন্ম হয়েছে। মা ও শিশু দুইজনই সুস্থ আছেন। মুয়াজের ওজন ও আকার বাংলাদেশের শিশুদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এর আগে কয়েক বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মা ৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের এক শিশুর জন্ম দেন। তিনি গর্ভবতী মায়ের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, গর্ভকালীন সময়ে প্রতিটি মা অন্তত চারবার গাইনী চিকিৎসকের কাছে এসে পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারন তাতে মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকবে না।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply