Friday , 26 April 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মুক্তাগাছায় চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের পায়তারা
--প্রেরিত ছবি

মুক্তাগাছায় চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের পায়তারা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে বিন্নাকুড়ি এলাকায় ১ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বিন্নাকুড়ি গ্রামের আঃ সালামের পুত্র ছাদেক আলী ২০০৭ সালে নটাকুড়ি মৌজার ১২৯ নং দাগে, জেএল নং-২৬০, জমির পরিমান সাড়ে ৬ শতাংশ
একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মুন্সির পুত্র রফিকুল ইসলাম এর নিকট থেকে দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে উক্ত জমিতে বনজ বৃক্ষ রোপন করে আবাদ করে আসছেন। ছাদেক আলী দীর্ঘদিন সৌদি আরবে চাকুরী করেন। ভুক্তভোগী সাদেক আলী জানান চাকুরী করে দেশে ফিরে এসে উক্ত জমির বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে একটি জেএমবি পরিবারের সদস্যরা তার কাছে চাঁদা দাবী করে কিন্তু সফল হয়নি। সম্প্রতি জমির বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে জেএমবি সদস্য ছামাদের চাচাত ভাই ইয়াকুব আলী একই এলাকার লাল মামুদ, তোতা মিয়া সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন ছাদেক আলীর কাছে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় গত ১৩ এপ্রিল মুক্তাগাছায় চাঁদা না পেয়ে জমি দখলের পায়তারা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এলাকার লাল মামুদ ও তার সদস্যরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ছাদেকের পরিবারের
উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে রাজমিস্ত্রী ইব্রাহীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাউন্ডারী ওয়ালের কাজ করতে গেলে
ইয়াকুব, তোতামিয়া সহ অজ্ঞাত কয়েক জন এসে কাজে বাঁধা দেয় এবং চাঁদা দাবী করে। এদিকে চাঁদা না পেয়ে লাল মামুদের লোকজন ছাদেকের ভাই জামালকে আটক করে মারধর করে এবং তার অটোরিক্সা ভাংচুর করে। এ বিষয়ে জামাল বলেন, আমি অটোরিক্সায় যাত্রী নিয়ে চেচুয়া যাওয়ার পথে টিয়াখালী মসজিদের কাছে গেলে
ইয়াকুব আলী আমার গাড়ি থামিয়ে তার লোকজন নিয়ে মারধর করে। এভাবে তিন দিন আমার উপর হামলা হয়। লাল মামুদ জেএমবি পরিবারের লোক হয়েও একটি গ্রুপ তৈরি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে কুকর্ম করে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জামাল ৯৯৯ এ ফোন করলে মুক্তাগাছা থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনার সত্যতা পান। পুলিশ লাল মামুদের লোকজনদের সতর্ক করে দেন। অন্যদিকে জামালকে প্রতিনিয়ত ছাদেককে এলাকায় নিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করছে। যাতে ছাদেকের উপর চাপ সৃষ্টি করে চাঁদা আদায় করতে পারে। এ বিষয়ে ইউপি
চেয়ারম্যান এর কাছে ছাদেক মোবাইল ফোনে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে প্রতিকার চাইলে চেয়ারম্যান উল্টো ছাদেকের বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে যার নং-৪৯৪। তারিখ-১২/০৪/২০২১ ইং। বর্তমানে ছাদেক লাল মামুদের লোকজনের ভয়ে এলাকায় যেতে পারছে না। এলাকায় গেলে যে কোন সময় তার উপর হামলা হতে পারে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আলী হুসি এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ছাদেক ও লাল মামুদের মধ্যে যে বিরোধ চলছে এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে শালিস হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ছাদেক একতরফা ভাবে শালিসে উপস্থিত না হয়ে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে বিষোদগার করে এবং আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। পরে আমি তার বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। এদিকে উক্ত জিডির বিরুদ্ধে ছাদেক আলি চ্যালেঞ্জ করেন আমি তার বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে কোন অশালীন বা হুমকির কথা বলিনি।
এলাকার মানিক হোসেন, রকিব মিয়া, বিল্লাল হোসেন,কান্দু মিয়াসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান, লাল মামুদ ইতিপূর্বে অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে তার বিরুদ্ধে এলাকার নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অপকমের অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে লাল মামুদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন প্রতিহিংসা মূলকভাবে কতিপয় ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply