Tuesday , 19 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
রাজনগরে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে প্রতিবেশীকে হয়রানির অভিযোগ 

রাজনগরে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে প্রতিবেশীকে হয়রানির অভিযোগ 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের চাটুরা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার দাপটে রাজনগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিবেশীর পুকুর পাড়ের গাছ ও পুকুরের পাড় কেটে প্রতিবেশীর জমি দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন অভিযোগ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্র দেব বার বার প্রতিবেশী আরশদ ও আমজাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। গত ২ আগষ্ট দুপুর ১২ টায় পুলিশ তার বাড়ীতে এসে তাকে না পেয়ে তার ঘরের তালা ভেঙ্গে রাজমিস্ত্রী কাজের হাতিয়ারসহ কৃষি ক্ষেতের দা কুড়ালসহ রান্নার কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে তার স্ত্রী লিমা আক্তার জানান।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্র দেবের সাথে পুকুরের পাড়ের জমি নিয়ে বিগত একমাস ধরে বিরোধ চলছিলো প্রতিবেশী আশরাফ আহমদ আরশদের সাথে। এনিয়ে ২০ মে আনোয়ার হোসেনের বাড়ীতে সালিসি বৈঠক বসে। সালিশি বৈঠকে বিষয়টি সঠিক ভাবে মিমাংসা হয়নি বলে আরশদ জানান। আরশদ আরও জানান গত ১ আগষ্ট দিনের বেলায় রাজনগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আমার পুকুর পাড়ের পুরাতন গাছ কেটে ফেলে সমরেন্দ্র দেব তার ছেলে স্বপন দেব,আবু দেব,গৌরা দেব,নিতাই দেব,সাগর দেব,সুজিত দেব। এসময় আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কাটা গাছগুলো তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরের দিন আবারও পুলিশ এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আজ ৩ আগষ্ট সকালে বহিরাগত কিছু লোক ভাড়া করে এনে  সমরেন্দ্র দেব গং পুলিশের উপস্থিতিতে পুকুর পাড় কেটে রাস্তা তৈরী করে।আরশদের স্ত্রী লিমা আক্তার জানান,সমরেন্দ্র দেব গংদের  হয়রানিতে পুলিশের ভয়ে তার স্বামী ৩দিন যাবৎ বাড়ী ছাড়া। যার ফলে অবুঝ ২টি সন্তান নিয়ে ৩দিন ধরে অর্ধাহারে অনাহারে দিনপাত কাটাচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধার দোহাই দিয়ে সমরেন্দ্র দেব তাদের জমির উপর রাস্তা তৈরীর করছেন কেটে নিচ্ছেন গাছপালা।
এলাকার হাবিব চৌধুরী,শেফুল মিয়া,দুলাল মিয়া,রুমন মিয়া,শাহিদ মিয়া,মোতালিব মিয়া,নরুজ মিয়া,বিলাল মিয়া,হান্নান মিয়া বলেন,সমরেন্দ্র দেব মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে আরশদকে হয়রানি করা হচ্ছে।জায়গা জমি কাগজপত্রের বিষয় মৌজার ম্যাপ ও কাগজপত্র দিয়ে প্রমান করে বৈধ ভাবে রাস্তা তৈরি করলে আরশদ বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু প্রভাব কাটিয়ে এভাবে হয়রানি করা ঠিক হয়নি।
এব্যাপারে রাজনগর থানার অফির্সার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় বলেন,এর আগে এবিষয়ে গ্রামে সালিসি বৈঠক বসে। সালিশি বৈঠকে বিষয়টি শেষ হয় এ পর্যন্তই আমার জানা এবং আরশদ পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply