Tuesday , 19 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
রাজাপালং ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডঃফিরে দেখা এক বছরে দুই কোটি টাকার উন্নয়ন !

রাজাপালং ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ডঃফিরে দেখা এক বছরে দুই কোটি টাকার উন্নয়ন !

উখিয়া,কক্সবাজার, প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে গত এক বছরে প্রায় ২ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়েছে।এসব উন্নয়নের নায়ক মানুষের কল্যাণে নিরন্তর ছুটেচলা বর্তমান ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন।সরকার,এনজিও এবং হেলাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রদেয় বলে তিনি জানান।

জানাগেছে, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৌলবী বখতিয়ার আহমদের অকাল মৃত্যুজনিত কারণে শুন্য ঘোষিত হয়।

গত বছরের ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে মরহুম মৌলবী বখতিয়ার আহমদ মেম্বারের সুযোগ্য তনয় ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন দুই হাজারের বেশী ভোটে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর শপথ গ্রহণ পরবর্তী অদ্যবধি পর্যন্ত গত ১ বছরে সরকার প্রদত্ত, বিভিন্ন এনজিও প্রদত্ত এবং হেলাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয়িত অর্থ সহ সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার উল্ল্যেযোগ্য উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হন।

এসবের মধ্যে কুতুপালং নবোদয় বিহার সড়ক,
কুতুপালং উত্তর পাড়া সড়ক,কুতুপালং পিএফ পাড়া সড়ক,চাঁটাবুনিয়া হয়ে হাঙ্গরঘোনা সড়ক,
কুতুপালং বংকিমরাস্তা সড়ক,পাতাবাড়ী মন্দির হতে অমল বড়ুয়ার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক,কুতুপালং বৌদ্ধ শশ্মান বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণে অনুদান,শৈলরডেবা
শশ্মানের বাউন্ডারী নির্মাণে অনুদান,এছাড়াও ৯নং
ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা মসজিদ-মাদ্রাসা,মন্দির,বিহারে
সহায়তা প্রদান, হতদরিদ্র-দরিদ্র পরিবারের বিয়ে-সাদী সম্পাদনে অনুদান প্রদান,চিকিৎসা সেবা প্রদান
এবং চিকিৎসা বঞ্চিত অসংখ্য মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান,নিজস্ব অর্থায়নে জনচলাচলের রাস্তার সংস্কার সহ অন্তত ২ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।

এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য ইন্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন,রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সর্ব-স্তরের জনসাধারণ সালাম,আদাব,নমস্কার।আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, আগামী ১১ নভেম্বর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।এতে ৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।২০১৬ সালে সর্বশেষ রাজাপালং ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। যে নির্বাচনে বিপুল ভোটে আমার পিতা মরহুম বখতিয়ার আহমদ ৯ নং ওয়ার্ডে ৩য় বারের মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আমার পিতার মৃত্যুজনিত কারণে ৯নং ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে বাবার পদাংক অনুসরণ করে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করি।জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে। যা ছিলো স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ বিজয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে পিতাকে হারায়। শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পিতার অবর্তমানে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হই।পিতা হারানো ওয়ার্ডে নিজেকে দ্ধিতীয়বারের মত প্রার্থী হয়েছি।

৯নং ওয়ার্ডের জনগণ আবারো মরহুম বখতিয়ার আহমদ মেম্বারের উত্তরসূরী হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবে প্রত্যাশা রাখছি। ৯নং ওয়ার্ডের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছি,থাকবো।যার ফলশ্রুতিতে বিগত ১২ মাস চেষ্টা করেছি জনসেবা ও এলাকার উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে।জনগণের খেদমতে সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। বিশেষ করে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা ছিলো সবসময়।

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যে সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচী, বিশেষ করে ভিজিডির চাল, ১০ টাকা কেজিতে চাল, সরকার থেকে প্রাপ্ত নানা সহযোগিতা, চেষ্টা করেছি স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহীতার সহিত বিতরণ কার্য সম্পাদন করতে।সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার দৃষ্টিকোণ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে কাজ করেছি। যা এলাকার আমজনতা মাধ্যমে বিতরণ কার্যও সম্পন্ন করেছি।

এছাড়াও চেষ্টা করেছি সরকারের যে উন্নয়ন, তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে। এর বাইরেও নিজস্ব তহবিল থেকে মসজিদ-মাদরাসা,মন্দির, কবরস্থান, শশ্মান সহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছি। এ ক্ষেত্রে আমার প্রচেষ্টার ঘাটতি ছিলনা।পাশাপাশি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারে, যারা অর্থাভাবে কন্যা বিয়ে দিতে অক্ষম, তাদের আর্থিক সহায়তা করেছি।
অর্থাভাবের কারণে চিকিৎসা বঞ্চিত পরিবারে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে, পাশে থেকেছি।অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি উদারচিত্তে।যখনই কোন ব্যক্তি এসেছে, তাকে চেষ্টা করেছি সহযোগিতা করার,সমাদর করেছি প্রানখুলে।আমার নিকট এসে কেউ আশাহত হয়নি।হতাশায় ভেঙে পড়তে দিইনি।এলাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের এনজিওতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।আগামীতেও আমার ওয়ার্ডের কেউ নিরুৎসাহিত হবেনা ইনশাআল্লাহ।

আরেকটি বিষয় উল্ল্যেখ না করলে হয়না, যেহেতু ৯নং ওয়ার্ড রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও’র যে সহায়তা তা স্বচ্ছতার সাথে সাধারণ মানু্ষের মাঝে সুষম বন্টনে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেছি। সর্বোপরি গত ১২ মাস নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি মানবসেবায়।

আগামী ১১ নভেম্বর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ৯নং ওয়ার্ডের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও গরীব মানুষের পাশে থাকার জন্য আবারো এ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছি। মহান আল্লাহর রহমত ও আমার মরহুম পিতা আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমদ মেম্বারের ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে ইনশাআল্লাহ ৯নং ওয়ার্ডের জনগণের পাশে ছিলাম, আছি থাকবো,সকলের আন্তরিক দোয়া,ভালবাসা,সহযোগিতা,সমর্থন ও মূল্যবান রায় প্রত্যাশা করছি,আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।আপনাদেরই ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply