Wednesday , 1 May 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সড়ক বিভাগের পক্ষপাতিত্ব কুষ্টিয়ায় আটকে গেছে পৌনে ৬শ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের নির্মান কাজ

সড়ক বিভাগের পক্ষপাতিত্ব কুষ্টিয়ায় আটকে গেছে পৌনে ৬শ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের নির্মান কাজ

কুষ্টিয়ায প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় মহাসড়কের জমিতে দখলবাজীর দৌড়াত্ম ও সড়ক বিভাগের পক্ষপাতিত্বের কারণে থেমে গেছে ফোরলেন সংযুক্ত প্রকল্পের ড্রেন নির্মাণ কাজ। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাভাবিক চলাচলে বাধাগ্রস্তসহ চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে ড্রেনের জন্য খননকৃত গর্ত। এলাকাসীর অভিযোগ, মহাসড়কের নিজস্ব জায়গা প্রভাবশালী দখলবাজদের ছেড়ে দিয়ে নির্মানাধীণ ফোরলেন প্রকল্পের ড্রেন নির্মাণে অতিরিক্ত জমি পূরণ করতে গিয়ে নতুন করে বসতবাড়ি ও ফসলী জমিতে ঢুকে পড়েছে সড়ক বিভাগ। এতে বিক্ষোভে ফুসে উঠেছে স্থানীয়রা। প্রতিকার চেয়ে কেউ কেউ নিয়েছেন আইনের আশ্রয়। সৃষ্ট এই জটিলতার সত্যতা স্বিকার করেই সড়ক বিভাগ বলছেন, সম্পূর্ন সরকারী অর্থায়নসহ ৫শ ৭৪ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা প্রাক্কলন ব্যয়ে নির্মানাধীণ “ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া- পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মাহসড়ক(এন-৭০৪)র কুষ্টিয়া শহরাংশে ৪-লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরন” প্রকল্পটি শীঘ্রই সব সমস্যা দুর করে বন্ধ হওয়া নির্মান কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।স্থানীয় কাউন্সিলর এজাজুল হাকিম বলেন, গুনগত মাননিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ইতোমধ্যে শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণশেষে দুরপাল্লার সকল যানবাহন চলাচলে ব্যবহৃত হচ্ছে সড়কটি। এখন চলছে শহরাংশের মজমপুর গেটস্থ শুন্য পয়েন্টস থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের বটতৈল পর্যন্ত ৪কি:মি: ড্রেনসহ ফোর লেন রাস্তা সম্প্রসারন ও উন্নীতকরণ কাজ। কাজটি ঠিকঠাক ভাবেই চলছিলো। কিন্তু একাজ করতে গিয়ে সড়ক বিভাগের পক্ষপাতিত্বে সৃষ্ট জটিলতায় আটকে গেছে নির্মান কাজ। এরফলে ড্রেনের গর্তে পড়ে কেউ না কেউ আহত হওয়ার ঘটনা নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। দ্রুত কাজটি শেষ করে জনভোগীন্তির নিরসন করা হোক। কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে সরকারের এতোবড় উন্নয়ন প্রকল্প আটকে যাবে এটা হতে পারে না। স্থানীয় এক গ্যারেজ মালিক আব্দুল খালেকের অভিযোগ, উন্নয়ন কাজটি হওয়ার কথা বিদ্যমান রাস্তার মাঝখান থেকে উভয় পাশের সমান জমি ব্যবহার করে। এখানে সড়ক বিভাগের নিজস্ব জমিও আছে অথচ প্রভাবশালীদের দখলের কারণে জায়গা কমে গেছে। এখন নতুন করে এলাকাবাসীর জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতি করে নিচ্ছে সড়ক বিভাগ। এতে আমাদের মতো অসংখ্য মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে চরম বিপদের মুখে পড়ব।সদর উপজেলার চৌড়হাসের বাসিন্দা মোস্তফা মনোয়ারের অভিযোগ, বিশেষ কাউকে সুবিধা দিতে গিয়ে এই জটিলতার সৃষ্টি করেছে সড়ক বিভাগ। রাস্তা সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত জায়গাও আছে। নতুন করে জমি অধিগ্রহণের কোন প্রয়োজনই ছিলোনা। অথচ সড়ক বিভাগের জায়গা অন্যের দখলে ছেড়ে দিয়ে আমাদের জমিতে ড্রেনের জন্য গর্ত খুড়তে লাল পতাকা লাগিয়েছে। আমিও আইনের আশ্রয় নিয়ে এর সুরাহা করতে চাই।স্থানীয় কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন বিদ্যমান ভোগান্তির নিরসন দাবি করে বলেন, সড়ক বিভাগ যেন দ্রুততম সময়ে বন্ধ হওয়া ড্রেন নির্মান কাজ সম্পন্ন করে সেজন্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পিয়াস কুমার সেন বলেন, কুষ্টিয়া মজমপুর গেইট জিরো পয়েন্ট থেকে বটতৈল পর্যন্ত ৪কি:মি: ডাবল লেনের সড়কটি ফোর লেনে উন্নীতকরন, রাস্তার মাঝখানে বিভাজন ও উভয় পাশ দিয়ে ১দশমিক ৮৩মিটার উচ্চতা, ১দশমিক ৫মিটার প্রস্থের ড্রেন নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। একাজটি সম্পন্ন করতে নির্মান চুক্তি অনুযায়ী ১৪১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কাজটি চলছিলোও কিন্তু হঠাৎ করে মামলা জনিত আইনী জটিলতার কারণে নির্মান কাজটি এখন বন্ধ আছে।কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী মো: শাকিরুল ইসলাম বলেন, “আইনী জটিলতায় মজমপুর গেইট শুন্য পয়েন্ট থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহা সড়কের উভয়পাশে নির্মানাধীন ড্রেনের কাজটি বন্ধ আছে। দ্রুত কাজটি শেষ করতে সড়ক বিভাগ জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন মহলের সাথে যোগাযোগ রেখে কথা বলছেন। আশা করছি কার্যচুক্তিকাল ধরে আগামী ২০২২সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্মান কাজ  শেষ করতে পারবো”। সরকারের সকল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হোক পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। প্রভাবশালীদের অন্যায় ভাবে বিশেষ সুবিধা নয় বরং সমগ্র জেলাবাসী গুনগত মানসম্পন্ন ও পক্ষপাতহীন উন্নয়নের সুবিধাভোগী হতে পারে তেমনটাই দাবি তাদের।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply