Friday , 29 March 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
--সংগৃহীত ছবি

সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক:

সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিষেবা সম্প্রসারণ, সম্পদ বৃদ্ধি ও কার্যকারিতা বাড়ানোর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার প্রচেষ্টা জোরদার করার অঙ্গীকার করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) ‘স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, বিশ্বব্যাংক, সূচনা ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন এবং লন্ডনের চ্যাটাম হাউসের মতো বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিটি পদক্ষেপে প্রদত্ত সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর, বিশেষ করে ইউনিসেফ ও ডব্লিউএইচওর প্রশংসা করেছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী আয়োজন, কারণ আমরা স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আমাদের পরবর্তী পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি প্রস্তুত করছি এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইউএইচসি সম্পর্কিত একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করতে যাচ্ছে।

হেলেন ক্লার্ক তার বক্তৃতায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, বিস্তৃত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় ক্রমবর্ধমান সরকারি বিনিয়োগ একটি স্বাস্থ্যবান জনগোষ্ঠী ও একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি নিশ্চিতের লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সাশ্রয়ী ও ন্যায়সঙ্গত বিনিয়োগ।

স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের নেটওয়ার্কের জন্য, সব শিশুকে টিকাদানের আওতায় আনার জন্য এবং কভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও টিকাদানে সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ইউএইচসি’র একজন প্রবক্তা এবং আমরা তার নেতৃত্বে ইউএইচসি অর্জন করতে সক্ষম হব, তিনি যোগ করেন।

অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও বিশেষজ্ঞরা তাদের কাছে করা প্রশ্নের উত্তর দেন। এই অংশটি পরিচালনা করেন মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালকের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানা এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশটি ছিল স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের ব্যবস্থা এবং পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোর ব্যপারে আলোচনা ও সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়– একটি ‘ইমপ্রুভিং অ্যাকসেস টু অ্যাফোরডেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি পিএইচসি ফর ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ এবং অন্যটি ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং ফর এক্সিলারেটিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ’ বিষয়ে। সেশনের আলোচনা সঞ্চালনা করেন যথাক্রমে ড. রবার্ট ইয়েটস ও মো. আসাদুল ইসলাম।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply